1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
১৫ ফেব্রুয়ারি ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় : প্রধানমন্ত্রী - Nadibandar.com
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১
  • ১৪২ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৬ সালের এদিন সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে ভোট করেন খালেদা জিয়া। দুই শতাংশ ভোটও পড়ে না, কিন্তু তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী দাবি করে বসেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। যদিও গণ-আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভোট দিতে বাধ্য হন তিনি। এতে অনেক মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীকেও জীবন দিতে হয়েছে।’

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানীভাতা ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের পর পর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা হয়। দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থেকে যায়। সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে সম্মান অর্জন করেছি। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। এজন্য আমাদের অনেক নেতাকর্মীর জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে। আমি তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয়ার উদ্যোগ নেই। তাদের সম্মানীভাতাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়েছি। তাদের সুন্দর জীবন যাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। সন্তানদের চাকরি নিশ্চিত করেছি। এখন ভাতা যেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সহজে পায় সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। আজকে এটির উদ্বোধন হচ্ছে।’

jagonews24

এসময় প্রধানমন্ত্রী বীরশ্রেষ্ঠ ও বীর উত্তম ছাড়া সব বীর মুক্তিযোদ্ধার ভাতা ২০ হাজার করার ঘোষণা দেন। একইভাবে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ভাতাও এমন সমান একটা অংকে ঠিক করে দেয়ার কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় ও জামুকা মিলে এটি করবে।’

তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকের ঘরবাড়ি নেই। তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। যাদের ত্যাগে দেশ পেলাম, সেই মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরবাড়ি থাকবে না, আমি ক্ষমতায় থাকতে এটা হতে পারে না।’

এসময় বিত্তবানদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন না করলে বিত্তশালী হতে পারতেন না। মুক্তিযোদ্ধাদের ভালো থাকার জন্য অন্তত আপনারা তাদের পাশে দাঁড়ান। আমিও সরকারিভাবে আমার করণীয় যেটা করছি, করবো।’

অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম, গাজীপুর, মৌলভীবাজার, খুলনা, চাঁদপুরসহ বিভিন্ন জেলার উপজেলা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ সচিবসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

নদী বন্দর / এমকে

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com