আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহার রোধ করতে এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া গণমাধ্যমসহ কেউই ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি পাবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার (৯ আগস্ট) ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অপব্যবহারকে হুমকি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার ফলে গত বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় এআইয়ের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে তা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘আমরা এআইয়ের অপব্যবহারের ব্যাপারে কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। অসুবিধাটা হলো মিসইনফরমেশন, ডিসইনফরমেশন, ম্যালইনফরমেশন। এটা হচ্ছে প্রবলেম যে মিসইনফরমেশন বলতে মিথ্যা কথা, চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। যেটা আমাদের ক্যাজুয়াল বিহেভিয়ারের জন্য হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা উপাত্ত পেলাম। কিন্তু ভেরিফাই করলাম না সত্য না মিথ্যা, আমি শেয়ার করা শুরু করলাম। এটা হচ্ছে মিসইনফরমেশন। ডিসইনফরমেশন হচ্ছে সুপরিকল্পিতভাবে করা। অর্থাৎ একটা মিথ্যা কথা অসৎ উদ্দেশে আমি ছড়িয়ে দিচ্ছি। ম্যালইনফরমেশন হচ্ছে- যেটা সত্য কথা, কিন্তু আমার ছড়ানোর কথা না, আমি ছড়িয়ে দিচ্ছি। এই তিনটার মধ্যে এখন বিশেষ করে ডিসইনফরমেশন, যেটা এআই ব্যবহার করে বেশি হয়।’
সানাউল্লাহ বলেন, ‘একজন ব্যক্তির ভয়েসকে ক্লোন করে একটা কিছু করল বা একটা ভিডিও তৈরি করল বা যেকোনো কন্টেন্ট অডিও ভিজুয়াল কন্টেন্ট তৈরি করল, যেটা সত্য নয়। নির্বাচনি প্রক্রিয়াকে বলেন, ইলেকশন ইন্টিগ্রিটি বলেন, প্রতিপক্ষ আপনার প্রার্থীকে বলেন বা দলকে বলেন, হেয় করার উদ্দেশে এটা করা হয়ে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘এগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা আচরণবিধি সংযুক্ত করেছি। মনে রাখবেন, এই আচরণবিধি শুধু প্রার্থী এবং দলের জন্য। কিন্তু এআইয়ের ব্যবহার এদের বাইরেও লোকজন করবে। অনেক এন্টিটি আছে, যারা এটা করবে। শুধু রাজনৈতিক দল আর প্রার্থীরা করবে না। দেশ থেকে করবে, দেশের বাইরে থেকে করবে। সেগুলো প্রতিহত করার জন্য আমরা একটা কমিটি গঠন করেছি। ইতোমধ্যে তারা কাজ করছে কীভাবে কী করা যায়।’
ড্রোনের ব্যবহারের বিষয়ে ইসির এই কমিশনার বলেন, ‘ড্রোন এবং কোয়ার্ডকপ্টার- এ ধরনের কোনো কিছু কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট বা কেউ ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশনের ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজনীয়তা যদি আসে তখন আমরা আলোচনা করব। তবে গণমাধ্যমও পারবে না। কারণ কোনটা গণমাধ্যমের আর কোনটা গণমাধ্যমের না, তা চিহ্নিত করা অনেক কঠিন।’
নদীবন্দর/ইপিটি