স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত শয্যা থাকলেও নেই কোন পরীক্ষা-নিরিক্ষার যন্ত্রপাতি। একটি মাত্র এক্সেরে মেশিন সেটিও আবার বিকল হয়ে পড়ে আছে। শুধু মাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা ও পিস্কিপশন ছাড়া কোন পরীক্ষা-নিরিক্ষা মিলছে না এই হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ও সীমান্ত এলাকা হওয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে অত্যাধুনিক ওটি (অপারেশন থিয়েটার) সরকার করে দিলেও কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে হয় না অপারেশন কার্যক্রম। অন্যদিকে ডেন্টাল চিকিৎসক থাকলেও নেই ডেন্টাল চেয়ার। সবমিলিয়ে নানা সমস্যায় জর্জরিত এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটি। চিকিৎসা সেবায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
জেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত হিলি-হাকিমপুর উপজেলা। উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাকিমপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়,একমাত্র এক্সরে মেশিন সেটিও নষ্ট হয়ে রয়েছে। এছাড়াও আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন নেই,ডেন্টাল চিকিৎসক থাকলেও নেই ডেন্টাল চেয়ার। কনসালটেন্ট-এর ৬টি পদই ফাঁকা রয়েছে। ওটি আছে কিন্তু এনথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন হয় না। সেবিকার ২০টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ১৭ জন। আর চতুর্থ শ্রেণীর জনবল সংকট চরমে। সীমান্তবর্তী ও গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর হওয়ায় এখানকার মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কয়েকজন নারী অভিযোগ করে বলেন,এই হাসপাতালে ডাক্তাররা আমাদের দেখে শুধু পিস্কিশন করে দেয় আর হাসপাতাল থেকে কয়েককেটা ঔষধ দেয়। কিন্ত আমাদের শরীরে কী ধরনের সমস্যা এটার পরীক্ষার জন্য কোন মেশিন নেই এখানে। হাত-পা কিংবা কোন কিছু ভেঙ্গে গেলে আমরা এক্সেরে করতে পারি না,কোন কিছু মেশিনই নেই এখানে।আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন,হিলি একটা গুরুত্বপূর্ণস্থান সীমান্ত এলাকা,এখানে একটি পোর্ট আছে ,ইমিগ্রেশন আছে। কোন একটা জরুরী রোগী নিয়ে আসলে অপারেশন করা যায় না কিংবা কোন পরীক্ষা হয় না। যেতে হয় পাশের উপজেলায় এতে আমাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। সরকার যদি এলাকার মানুষের কথা ভেবে খুব দ্রুত এই হাসপাতালে অপারেশন কার্যক্রম চালু করতো তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো।
চিকিৎসা নিতে আসা এক মহিমা নামের একজন বলেন,আমরা গরীব মানুষ দেখেই তো হাসপাতালে আসি । কিন্তু আসে কি লাভ? এই হাসপাতালে বউ বেটির একটা সিজার করাতে পারি না।
আল্ট্রাসোনোগ্রাম করা যায় না,অনেক সমস্যা।আমরা এলাকাবাসী চাই খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হোক। হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা.তৌহিদ আল হাসান জানান,আমাদের হাসপাতালে অত্যাধুনিক ওটি (অপারেশন থিয়েটার) আছে কিন্তু কনসালটেন্ট ও এনেসথেসিয়া চিকিৎসক নেই যে কারনে অপারেশন করা সম্ভব হয় না। এক্সরে মেশিন,আল্ট্রাসোনোগ্রাম মেশিন ও ডেন্টাল চেয়ারে জন্য
উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষকে চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত পাবো আমরা। হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন,হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সে মেশিন বিকল এছাড়াও বেশি কিছু সমস্যা আছে। আমরা সবগুলো সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্বর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি।
নদী বন্দর / জিকে