ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ সুলতানকে রাষ্ট্রিয় ভাবে স্বীকৃতি স্বরূপ (মরণোত্তর) একুশে পদক দেয়ার দাবিতে পঞ্চগড়ের বোদায় মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১টায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের বোদা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বোদা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন, উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান মকলেছার রহমান জিল্লুর, পাথরাজ সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিকাশ চন্দ্র অধিকারী,
উপজেলা দুনীর্তি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান প্রামানিক নতুন, ভাষা সৈনিক এর ভাতিজা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান রুবেল, বোদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এন এ রবিউল হাসান লিটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সহকারী ও অধ্যাপক হকিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম,সাংবাদিক আশরাফুজ্জামান খোকন প্রমুখ।
মানববন্ধনটি পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করেন উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি লিহাজ উদ্দীন মানিক। মানববন্ধনে বোদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে একটি স্মারক লিপি প্রধানমন্ত্রী বরাবরে প্রেরণ করা হয়।
এ সময় বক্তাগণ বলেন ‘৫২ সালে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ কারীদের মধ্যে মোহাম্মদ সুলতান ছিলেন প্রথম সারির একজন। ৪৪’ ধারা ভঙ্গের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের পুকুর পাড়ে। এ সভায় ৪৪’ ধারা ভঙ্গ করার প্রথম প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। এর আগে তিনি ২০ ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে প্রথম কালো পতাকা উত্তোলন করেন। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর প্রেরনায় ভাষা আন্দোলনের রূপরেখা প্রনয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
এসব কর্মকান্ডের কারণে পাকিস্তানি শাষকগোষ্ঠির কু নজরে পরেন তিনি। এ সময় তাকে গ্রেফতার করে চার বছরের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। কারা ভোগের পর তিনি আবারা প্রগতিশীল রাজনীতির ধারায় আন্দোলন সংগ্রামে জরিয়ে পরেন। তার এসব অসামন্য অবদানের স্বীকৃতি আজও মেলেনি।
উল্লেখ্য, ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ সুলতার বোদা উপজেলার মাঝগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১০ সালে বোদা উপজেলা পরিষদ থেকে তার নামে নামকরণ বোদা-মাড়েয়া সড়কের নাম করা হয়। সেই সাথে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাকে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয়। পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১০তম রোভার মুট ও কমেডেকা প্রদর্শনী পল্লীর নামকরণ ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ সুলতানের নামে করা
হয়েছিল। এছাড়াও প্রতি বছর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পঞ্চগড়ে তার নামে বই মেলার আয়োজন করে আসছে।
নদী বন্দর / এমকে