জমা করা মাটি নদীর পাড় থেকে দ্রুত সরিয়ে না নেয়া হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে মোংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলের খনন কাজ। এতে বিরূপ প্রভাব পড়বে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমনে।
নাব্য সংকটে বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলটি ২০১৪ সালের জুলাই মাসে পুনঃখনন কাজ শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। পরের বছর ৬ মে নৌযান চলাচলের জন্য চ্যানেলটি খুলে দেয়া হয়। তবে চ্যানেলের নাব্য ঠিক রাখতে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত থাকে।
খনন করা মাটি নদীর দুই পাড়ে ফেলার কারণে মাটির উঁচু স্তূপ তৈরি হয়। পাশাপাশি বালি ও কাদামাটি ঢুকে স্থানীয় রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যায়, এতে বিপাকে পড়েন স্থানীয়রা। বর্তমানে মাটি রাখার জায়গার সংকটে ড্রেজিং কাজ ব্যাহত হচ্ছে। নৌযান চলাচল করছে জোয়ারের ওপর নির্ভর করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাটি সরিয়ে না নেয়া হলে যে কোনো সময় বন্ধ হতে পারে খনন কাজ।
জোয়ারের ওপর নির্ভর করে নৌযান চলাচল করতে হয় বলে জানান নৌযানের চালকরা।
প্রতিনিয়ত মাটি সরানো না হলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খনন কাজ দাবি বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আনিছুজ্জামান।
তবে বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, চ্যানেলটির নাব্য রক্ষা করতে হলে স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন।
মোংলা-ঘষিয়ালী চ্যানেলে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে প্রায় ৩ কোটি ২৫ লাখ ঘনমিটার মাটি খনন করা হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত ছোট বড় প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার নৌযান এ পথে চলাচল করেছে।
নদী বন্দর / এমকে