চীনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি করেছে ভারত। চীন আকসাই চীনে হেলিপোর্ট বানানোর কাজ করছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক উপগ্রহ চিত্র থেকে দেখা গেছে, আকসাই চীনে নতুন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে বেইজিং। চীনা সেনাবাহিনীর সুবিধার্থেই এই নির্মাণকাজ চলছে বলে জানা গেছে।
পূর্ব লাদাখে সীমান্ত জুড়ে একাধিক নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে চীনের সেনাবাহিনী। এবার জিনজিয়াংয়ে অর্থাৎ পূর্ব তুর্কেস্তান ও তিব্বতে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে চীন। মূলত তাদের নজর আকসাই চীনের দিকে। এই এলাকাকে চীনা সেনাদের কাজে লাগিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে চাইছে বেইজিং।
ভারতীয় সীমান্ত জুড়ে গত কয়েক মাসে চীনা সেনাদের উপস্থিতি বেড়ে গেছে। হাই রেজ্যুলেশন স্যাটেলাইট চিত্রতে ধরা পড়েছে চীনা সেবাহিনীর নতুন নির্মাণের ছবি। হেলিপোর্ট যে তৈরি করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট। ভারতের দৌলত বেগ ওলডি বিমানঘাঁটির ঠিক উল্টো দিকেই চীন এই হেলিপোর্ট তৈরি করছে বলে দাবি ভারতের। ১৬ হাজার ৭শ ফুট উচ্চতায় এই দুটি নির্মাণই সীমান্তের খুব কাছে।
দৌলত বেগ ওলডি কৌশলগত দিক থেকে ভারতের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এর কাছাকাছি চীনে হেলিপোর্ট তৈরির যথেষ্ঠ কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ভারত। নতুন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে বিতর্কিত এলাকাতেই হেলিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। ২০১৯ সাল থেকেই ওই এলাকায় ধীরে ধীরে নির্মাণ কাজ শুরু করে চীন। এতে একাধিকবার আপত্তি জানিয়েছিল ভারত।
সীমান্তের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনায় চীন নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে বিশালসংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে, ভারতও শক্তি প্রদর্শনে পিছিয়ে যায়নি। সেনা সূত্রের খবর অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চীন যুদ্ধাস্ত্র মজুত করছে। দিনে-দিনে সেসব সমরাস্ত্রের বহর বাড়ানো হচ্ছে। একইসঙ্গে সীমান্তে সেনা গতিবিধিও লক্ষ্যণীয়ভাবে বাড়াচ্ছে বেইজিং। চীনা গতিবিধি তৎপর হতেই পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে ভারতও।
এদিকে, ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আকসাই চীন নিজেদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করতে হবে। তাদের দাবি এটা ভারতেরই অংশ। তাদের মতে শাকসগম ভ্যালি, যা চীনকে দিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান, সেটাও ভারতেরই অংশ। ওই অঞ্চল নিজেদের দখলে রেখেছে বলে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।