রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও সেবা প্রদানে যে কোনো অনিয়ম মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুণগতমান নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তাই খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি রাখা প্রয়োজন।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আমি ভোক্তাসাধারণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘মুজিববর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার সার্বজনীন। পণ্যের ন্যায্যমূল্য ও গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। আইন প্রণয়নের পাশাপাশি এর যথাযথ প্রয়োগ অত্যন্ত জরুরি। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ভোক্তাদের আস্থা অর্জনে আরো বেশি সচেষ্ট থাকবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, একই সঙ্গে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পলিথিন ও প্লাস্টিকের যথেচ্ছ ব্যবহার রোধ করতে হবে। বর্তমান করোনা মহামারিতেও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমি আশা করি, ভোক্তা সাধারণের অধিকার রক্ষায় বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব আরও নিষ্ঠার সাথে পালন করবে। ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।
নদী বন্দর / এমকে