দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটক ও স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, কক্সবাজার সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের আদলে সাজানো হোক। অবশেষে হাতে নেয়া হয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের তীর ঘেঁষে সুড়ঙ্গের আদলে ১২ ফুট উচ্চতায় ১২ কিলোমিটার দৃষ্টিনন্দন সড়ক তৈরির প্রকল্প। থাকবে সুড়ঙ্গের ভেতরে বিনোদনের সব সুযোগ-সুবিধাও। এটি বাস্তবায়িত হলে সৈকতের চেহারাই পাল্টে যাবে বলছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সুড়ঙ্গের আদলে ১২ ফুট উচ্চতায় সৈকতের তীর ঘেঁষে তৈরি হবে ১২ কিলোমিটারের দৃষ্টিনন্দন সড়ক। সুড়ঙ্গের ভেতরে থাকবে শপিংমল, উন্নতমানের রেস্তোরা, কফিশপ, মালামাল রাখার লকার, ওয়াশরুম, চেয়ারে বসে কাঁচের জানালা নিয়ে সমুদ্র দেখাসহ বিনোদনের আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা।
সড়কের পশ্চিম পাশে বা সমুদ্রের দিকে থাকবে বাইসাইকেল ও পায়ে হাঁটার পৃথক রাস্তা। থাকবে সমুদ্রতলের প্রাণিজগতের রহস্য দেখার অ্যাকুয়ারিয়াম, সড়কের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকবে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য। থাকবে বিনোদন পার্ক, মুক্তমঞ্চ ও বিদেশি পর্যটকদের অবকাশযাপনের ব্যবস্থা।
মূলত দীর্ঘদিন ধরে ঘিঞ্জি সৈকতের বালুচরে ঝুপড়ি দোকানপাট, ময়লা-আবর্জনা আর অব্যবস্থাপনা। যা দেখে মুখ ফিরিয়ে নেন পর্যটকরা। এ অবস্থায় সৈকতকে আন্তর্জাতিক মানের আদলে সাজানোর দাবি পর্যটক ও স্থানীয়দের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোম্বামী জানান, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে উত্থাপনের জন্য বহুমুখী সড়ক প্রকল্পটি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আছে।
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৈকতের তীরকে দৃষ্টিনন্দন করার মাধ্যমে পর্যটনের সম্ভাবনা খুলবে পাশাপাশি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণও বাড়বে।
১২ কিলোমিটারের সড়কটি তৈরিতে ব্যয় হবে ২০৫১ কোটি ২০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। আর প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সময় লাগবে চার বছর।
নদী বন্দর / পিকে