দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প থেকে আজ (১৬ মার্চ) পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম শহরে ২৪ ঘণ্টা ওয়াসার নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প-২-এর প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম।
তিনি বলেন, ‘সকালে শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রাহকদের মাঝে পানি সরবরাহ করা হয়েছে। শুরুতে নাসিরাবাদে রিজার্ভার এবং হালিশহরে এলিভেটেড ট্যাংকের মাধ্যমে সকালে ৩০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। পরে ধীরে ধীরে পানি সরবরাহ বাড়ানো হবে।’
চট্টগ্রাম নগরীতে ওয়াসার পানির দৈনিক চাহিদা ৫০ কোটি লিটার। কিন্তু এতদিন ওয়াসা সরবরাহ করতে পারত ৩৬ কোটি লিটার। ফলে দৈনিক ঘাটতি ১৪ কোটি লিটার পানির। শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার দ্বিতীয় প্রকল্প থেকে গ্রাহকদের পানি সরবরাহ শুরু হওয়ার ফলে চট্টগ্রাম শহরে ২৪ ঘণ্টা ওয়াসার নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ নিশ্চিত হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন ওয়াসার কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প-২ প্রতিষ্ঠার ৫৬ বছরের মধ্যে চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। জাপানের জাইকা, বাংলাদেশ সরকার ও চট্টগ্রাম ওয়াসার যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয় ৪ হাজার ৪৯১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে জাইকা ৩ হাজার ৬২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা, বাংলাদেশ সরকার ৮৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং চট্টগ্রাম ওয়াসা ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা অর্থায়ন করে।
রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলন করে পরিশোধনের পর চট্টগ্রাম শহরে সরবরাহ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। তিনটি প্যাকেজের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্যাকেজ-১-এর অধীনে ইনটেক ও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ, নাসিরাবাদে রিজার্ভার এবং হালিশহরে এলিভেটেড ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। প্যাকেজ-২-এর অধীনে ট্রান্সমিশন ও কনভেয়েন্স পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়। এখন প্যাকেজ-৩ এর অধীনে নগরীর পুরাতন পাইপলাইনের পরিবর্তে নতুন পাইপলাইন বসানো হচ্ছে।