দেশে যে পরিমাণ আলু উৎপাদন হয়ে থাকে তার একটি অংশ রফতানি করতে না পারলে আলু শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন আলু রফতানিকারকরা।
মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘চলতি মৌসুমে আলুর সম্ভাব্য সরবরাহ, সংরক্ষণ ও বিপণন পরিস্থিতি’ বিষয়ক কর্মশালায় অংশ নিয়ে এসব বলেন তারা।
কর্মশালায় আলু রফতানিতে নগদ সহায়তা ১৫ থেকে ৩০ শতাংশে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, রংপুর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত একটি ট্রাকে প্রায় ৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। জাহাজ পাওয়া যায় না সময়মতো, ভালো জাতের সমস্যা নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হচ্ছে না।
তারা বলেন, বিভিন্ন দেশে আলু রফতানির সম্ভাবনা থাকার পরও আমাদের বিশ্বমানের ল্যাব না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ সময় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. বিমল চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, আলুকে শিল্প হিসেবে নিতে হবে। মধ্যম সারির ব্যবসায়ী হয়ে এ খাত এগিয়ে নেওয়া যাবে না।
কর্মশালায় বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, উৎপাদনের মাঠ থেকে বিশ্ব বাজার পর্যন্ত বাজার মনিটরিং কমিটি গঠন করে কাজ করতে হবে সরকারকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, দেশে আলুর দাম সহনীয় রাখা, কৃষক পর্যায়ে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও বিশ্ববাজারে রফতানি বাড়াতে সব ধরনের সহায়তা করার চেষ্টা করবে অধিদপ্তর। এক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা দূর করা হবে।
নদী বন্দর / এমকে