পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-২ সমতা ছিল। আহমেদাবাদে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আদতে পরিণত হয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে। সেই ‘ফাইনাল’ জিতলো ভারত বড় ব্যবধানেই। ইংল্যান্ডকে ৩৬ রানে হারিয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বিরাট কোহলির দল।
মহাগুরুত্বপূর্ণ লড়াইয়ে অবশ্য ভারতকে আসল কাজটা করে দিয়েছেন ব্যাটসম্যানরাই। তবে বোলারদেরও অবদানও ফেলে দেয়া যাবে না কিছুতেই। বরং একটা সময় তো ইংল্যান্ডেরও জয়ের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান ভারতীয় বোলাররা।
রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির দুর্দান্ত হাফসেঞ্চুরির সঙ্গে হার্দিক পান্ডিয়া আর সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিং তাণ্ডবে ২ উইকেটে ২২৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল টস হেরে ব্যাট করতে নামা ভারত।
রোহিত আর কোহলি ৫৪ বলের উদ্বোধনী জুটিতেই দলকে এনে দেন ৯৪ রান। ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৫ ছক্কায় ৬৪ রান করে বেন স্টোকসের বলে বোল্ড হলে ভাঙে এই জুটি।
উইকেটে আসেন সূর্যকুমার। এসেই আগের ম্যাচের মতো তাণ্ডব শুরু করেন। ১৭ বলে ৩ চার আর ২ ছক্কায় ৩২ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী এক ইনিংস খেলে সূর্য আদিল রশিদের শিকার হলে কিছুটা স্বস্তির আশা করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু তাদের সেই স্বস্তি আসেনি।
এবার কোহলির সঙ্গী হন হার্দিক পান্ডিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৪০ বলে ৮১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি উপহার দেন তারা। দুজনই থাকেন অপরাজিত। কোহলি ৫২ বলে ৭ চার আর ২ ছক্কায় করেন ৮০ রান। হার্দিক ১৭ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস।
লক্ষ্য ২২৫ রান। ইংল্যান্ড ১৩ ওভার পর্যন্ত দশের ওপর রান তুলেই এগোচ্ছিল। উইকেট তখনও হাতে ছিল ৮টি। কিন্তু ভারতীয় বোলাররা সেখান থেকে দারুণভাবে কামব্যাক করেন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা থামে ৮ উইকেটে ১৮৮ রানে।
জস বাটলার ৩৪ বলে ৫২ আর ডেভিড মালান ৪৬ বলে ৬৮ রান করে ফেরার পরই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। পরের ব্যাটসম্যানদের কেউ বিশের ঘরও ছুঁতে পারেননি।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে ৪৫ রান খরচ করলেও গুরুত্বপূর্ণ ৩টি উইকেট নেন এই পেসার। ভীষণ মিতব্যয়ী ছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন তিনি।
নদী বন্দর / এমকে