ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এগিয়ে থেকেও ইউক্রেনের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। আর আজারবাইজানের বিপক্ষে ১-০ গোলের কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল।
স্তাদে দ্য ফ্রান্সে একটা মাইলফলক ছুঁয়েছেন আঁতোয়া গ্রিজম্যান। ইউক্রেনের বিপক্ষে ফ্রান্সকে ম্যাচের ১৯ মিনিটে প্রথম লিডটা এনে দেন বার্সা তারকাই। ৩৪ গোল নিয়ে এখন ডেভিড ত্রেজেগের সঙ্গে যৌথভাবে ফরাসিদের চতুর্থ সর্বোচ্চ স্কোরার আঁতোয়া গ্রিজম্যান।
৫১ গোল নিয়ে তালিকার শীর্ষে থাকা থিয়েরি হেনরি অঁরিকে ছাড়িয়ে যাওয়া হয়তো একটু কঠিনই হবে ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের জন্য। যেমন কঠিন হয়েছে ম্যাচের ফলাফলটা মেনে নিতেও। ৫৭ মিনিটে কিমপেম্বের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরা ইউক্রেনিয়ানরা গোলপোস্ট পাহারায় ছিলো সতর্ক।
এর আগের দেখায় ৭-১ গোলে উড়ে যাওয়া ইউক্রেন, এদিন লড়াকু। দ্যুতিহীন জিরু-এমব্যাপ্পে-পগবারাও। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মাঠ থেকে মূল্যবান ১ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে শেভচেঙ্কোর দল।
পর্তুগালে লড়াই করেছে আজারবাইজানও। আগের ৬ দেখায় ৫ জয় ছিলো পর্তুগিজদের। এদিনও শুরুটা হয় ফেভারিটের মতোই। বারে লেগে বল না ফিরলে ১০ মিনিটেই তো এগিয়ে যেতো জায়ান্টরা।
রোনালদো-বার্নার্দো সিলভা-আন্দ্রে সিলভা কিংবা নেভেস। কাকে রেখে কাকে সামলানো যায়! মুহুর্মুহু আক্রমণের চাপ সামলাতে গিয়ে ৩৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে আজারবাইজান।
অ্যালিয়েঞ্জ স্টেডিয়ামে সেলেকাওদের সামনে বুক চিতিয়ে লড়েছেন সফরকারী গোলরক্ষক। রোনালদো-ফার্নান্দেসদের অস্থিরতা পৌঁছায় চরমে।
ক্যারিয়ারে কতো নামী গোলরক্ষককে নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন সিআরসেভেন। অথচ এদিন অখ্যাত মাহাম্মাদালিয়েভই শক্ত প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন। দল জিতলেও, ব্যক্তিগত লড়াইয়ের অতৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো পর্তুগিজ সুপারস্টারকে।
নদী বন্দর / পিকে