1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই হেরেছে বাংলাদেশ - Nadibandar.com
বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর ডেস্ক:
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ মার্চ, ২০২১
  • ১৮৮ বার পঠিত

৮ ওভার শেষ হওয়ার (৭.৫ ওভার) আগেই নাই হয়ে গেলো ৬টি উইকেট। অর্থ্যাৎ দলের সেরা ৬জন ব্যাটসম্যান দুই চতুর্থাংশের আগেই শেষ। বাকি ৪ উইকেট দিয়ে আর কতদুর যেতে পারবে বাংলাদেশ? প্রমাদ গুনতে শুরু করেছিলেন বাংলাদেশের দর্শক-সমর্থকরা।

কিন্তু দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং সাইফউদ্দিনের দাঁত কামড়ে লড়াই বাংলাদেশকে নিয়ে গেলো ম্যাচের শেষ পর্যন্ত। পূর্ণ ২০ ওভার খেলেছেন টাইগাররা। হারিয়েছে মোট ৮ উইকেট। দু’জন ব্যাটসম্যানকে ব্যবহারই করতে হয়নি। তাতে হারের ব্যবধানটা কমেছে। স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মেনেছে ৬৬ রানের ব্যবধানে।

৫৯ রানে ৬ উইকেট। মহা বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতিতে পরাজয় নিশ্চিত। তবে ব্যবধান কমিয়ে সেই পরাজয়কে যতটা সম্মানজনক রূপ দেয়া যায়, ততটাই ভালো। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ত্রাতা হিসেবে যেন আবির্ভূত হয়েছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং সাইফউদ্দীন। এ দু’জনের দারুণ ব্যাটিংয়ে ভর করে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান।

যদিও আফিফের লড়াইও শেষ করে দিয়েছিলেন লকি ফার্গুসন। ৩৩ বলে ৪৫ রান করার পর ফার্গুসনের বলে তিনি বোল্ড হয়ে যান। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ১টি ছক্কার মার ছিল তার ইনিংসে। তবে সাইফউদ্দিন ছিলেন অপরাজিত। তিনি করেন ৩৪ রান। নাসুম আহমেদ ছিলেন শূন্য রানে অপরাজিত।

আফিফ আর সাইফউদ্দীনের লড়াইয়ের আগে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল বাংলাদেশের। ২১১ রানের বিশাল লক্ষ্য। ব্যাটিং শুরুর আগেই কী ঘাবড়ে গেলো বাংলাদেশ? অসম্ভব কিছু নয়। এতবড় স্কোর দেখলে যে কারো ঘাবড়ে যাবারই কথা। তবে, ঘাবড়ে না গিয়ে সাহসের সাথে লড়াই করতে পারাটাই গৌরবের।

কিন্তু সেই গৌরব হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে দেখাতে পারছে না বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। কিউই বোলিংয়ের সামনে নিজেদের নখদন্ত পুরোপুরি বের হয়ে পড়েছে টাইগারদের। ৫৯ রানেই হারিয়ে বসেছে ছয়টি উইকেট।

মূলতঃ কিউই লেগ স্পিনার ইশ সোদির ঘূর্ণিতেই কুপোকাত বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তার ঘূর্ণি বলেই মুরি-মুড়কির মত পড়ছে উইকেট। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাত্র ২ ওভার বল করেই তিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। রান দিয়েছেন কেবল ৮টি।

দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং লিটন দাস শুরুতে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু বিপর্যয়ের সূচনাটা করেন লিটন দাস। ২০ রানের জুটি গড়ার পর টিম সাউদির বলে ইশ সোদির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি মাত্র ৪ রান করে। বল মোকাবেলা করেছিলেন ৫টি।

এরপর একে একে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। যেন আসা-যাওয়ার তুমুল এক প্রতিযোগিতা। সর্বোচ্চ ২৭ রান করে ফিরে যান মোহাম্মদ নাঈম। তিনি ভেলেন ১৮টি বল। বাউন্ডারি মেরেছেন ৫টি।

সৌম্য সরকার আউট হন ৫ রান করে। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হলেন ৬ বলে ৪ রান করে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ দুই অংকের ঘর ছুঁতে পেরেছিলেন। ৯ বলে করেন ১১ রান। কিন্তু সোদির ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি। মেহেদী হাসান আউট হলেন কোনো রান না করেই। সোদির বলে বোল্ড হয়ে।

নদী বন্দর / পিকে

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com