ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনের জন্য নয়, বিরোধিতার জন্য জেলে গিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সোমবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন। ‘কণ্ঠরােধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে এবি পার্টি।
সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মোদি সাহেব বলেছেন, উনি মুক্তিযুদ্ধের সময় জেলে গিয়েছিলেন, কারণ কী। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তো ভারতীয় নেতাকর্মীদের বিরোধিতা ছিল না বরং ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে এক কোটি অসহায় বাঙালির সহায়তা ও কীভাবে দ্রুত যুদ্ধ শেষ করা যায় সেই পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছিল। এ জন্য রুশ-ভারত চুক্তি হয়েছিল। এটার বিরোধিতা করেছিল হিন্দুসভা। সম্ভবত পাকিস্তানেরও কিছু অর্থ পেয়েছিল। সেই কারণেই তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের জন্য নয়, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করার জন্য জেলে যেতে হয়েছিল।
তিনি বলেন, ভারতের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত লাভবান হয়েছে অনেক বেশি। এখন ভারত থেকে মুক্ত হতে না পারলে বাংলাদেশ বিলীন হয়ে যাবে। আমরা ভারতকে অনুসরণ করব না। বিশ্ব আমাদের অনুসরণ করবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমাদের ঘরে আটকে রাখা হলো। তিনজন মানুষের প্রাণ গেল। সরকারের গুলিতে এই পর্যন্ত ১৭ জন মানুষ মারা গেছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে একটি দল কুক্ষিগত করে রেখেছে। আজ মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের সম্মান দেয়া হয় না। আহতরা সম্মান পায় না।
দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বাের্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এএফএম সােলায়মান চৌধুরী। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব .) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এবি পাটির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল ওহাব, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।