শবে বরাত ও ভারতের হোলি উৎসব উপলক্ষে দু’দিন বন্ধ থাকার পর লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পণ্যবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশের মধ্য দিয়ে দু’দেশের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়।
বাণিজ্য শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। ভারত থেকে পাথরবোঝাই ট্রাকগুলো একে একে বুড়িমারী বন্দরে প্রবেশ করছে। পাথর ভাঙা কাজে প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করছেন।
বুড়িমারী সি অ্যান্ডএফ’র একটি সূত্র জানায়, বর্তমানে আমদানি-রফতানিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে র্যাপ সিড নিয়ে যেসব ভারতীয় ট্রাক বন্দরে ঢুকছে এসব পণ্যে পরিবহনের জন্য কোনো বাংলাদেশি ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। নির্দিষ্ট সময়ে পরিবহন করতে না পারায় টন প্রতি ৪০ টাকা করে জরিমানা দিতে হচ্ছে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও বুড়িমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ নেওয়াজ নিশাত বলেন, দু’দিন ছুটির পর প্রাণ ফিরে পেয়েছেন বুড়িমারী স্থলবন্দর। ভারত থেকে শুধুমাত্র বোল্ডার পাথর এবং লাইম স্টোন ডোলোমাইট পাউডার আসছে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের কাস্টমস সহকারী কমিশনার (এসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার জানান, শবে বরাত ও হোলি উৎসব উপলক্ষে দু’দেশের মধ্যে দু’দিন ছুটির পর বুধবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে