বুড়িগঙ্গার বর্জ্যের বিষাক্ত কালো পানিতে প্রতিদিনই ধোয়া হচ্ছে শাক-সবজি। প্রতিদিন ভোর থেকে চলে এ কার্যক্রম। এভাবেই পরিষ্কার করা হয় শ্যামবাজারের পাশে নদীতে শাকসবজির ময়লা-মাটি। দীর্ঘক্ষণ সবজি সতেজও থাকে পানিতে ডুবায়ে রাখলে। আবার অনেকে তো দাবি করেন বুড়িগঙ্গার পানি পরিষ্কার। নৌকা ছেড়ে দিলে যেন বেড়ে যায় বিষাক্ত পানিতে সবজি ধোয়ার প্রতিযোগিতা।
এটা ক্ষতিকর মানলেও ক্রেতা আকর্ষণে বিরত থাকছেন না এই দূষিত পানিতে সবজি ডুবাতে। যাদের জন্য এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে চলছে বিষাক্তকরণ; তারা চান বিষমুক্ত হোক তাদের খাবার টেবিল।
ব্যবসায়িক স্বার্থে নানা অজুহাতে বুড়িগঙ্গার পানিতে প্রতিনিয়ত ধোয়া হচ্ছে শাকসবজি, যা ভোক্তাদের ঠেলে দিচ্ছে ভয়াবহ পরিণতির দিকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বিক্রির আগে বিষাক্ত পানিতে এসব পুষ্টিকর পণ্য ধোয়া বন্ধ করলেই হবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে দেখতে হবে উৎপাদন পর্যায়ে ব্যবহার করা হয়েছে কতটা নিরাপদ পানি।
পবার সাধারণ সম্পাদক পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু, ধলেশ্বরী এ নদীগুলো দূষিত। কৃষিকাজে এ পানি ব্যবহার করা হয়, এটাও আমাদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
পুষ্টিবিদদের পর্যবেক্ষণ, এসব খাবার খেয়ে হরহামেশাই পানিবাহিতসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।
পুষ্টি ও খাদ্য বিশেষজ্ঞ সামিয়া তাসনিম বলেন, নিউমোনিয়া, মেনিনজাইটিস, ক্রনিক ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে। ছোট বা বৃদ্ধ যারা পরিবারে আছে তারা যদি এ ধরনের খাবার গ্রহণ করে থাকে তাহলে বড় ধরনের রোগ হতে পারে।
এসব দূষিত খাবার থেকে বাঁচতে ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তারা।
নদী বন্দর / জিকে