বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। ভবিষ্যতেও জাতীয় প্রয়োজনে সেনাবাহিনীকে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) যশোর সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চারটি ইউনিটের রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সেনাবাহিনী প্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনী একটি আধুনিক, যুগোপযোগী এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, রেজিমেন্টাল কালার প্রাপ্তি যেকোনো ইউনিটের জন্য একটি বিরল সম্মান এবং পবিত্র আমানত। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে এই বিরল প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে অধিক গৌরবের ও আনন্দময়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ও ১৭ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এবং ১০ ও ১১ সিগন্যাল ব্যাটালিয়ন এ কালার প্যারেডে অংশগ্রহণ করে। এরপর প্রধান অতিথির কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা গ্রহণ করে।
এর আগে যশোর সেনানিবাসের এসটিসিঅ্যান্ডএস প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. নূরুল আনোয়ার সেনাপ্রধানকে অভ্যর্থনা জানান।
প্যারেড কমান্ডার লে. কর্নেল মো. শাহাবউদ্দিনের নেতৃত্বে কালার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী ব্যাটালিয়নসমূহের সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে সালাম প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ এবং বিভিন্ন পদবীর সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান, পার্বত্য চট্রগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা, দেশ ও জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান, বিবিধ প্রশিক্ষণ ও অপারেশনাল কর্মকাণ্ডে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি ইউনিট বা রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করা হয়।
নদী বন্দর / এমকে