নৌপথে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করে ছোট আকারের লঞ্চ। যা নিম্ন মানের লোহার প্লেট দিয়ে তৈরি এবং লঞ্চগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। কোনো রকম রং মাখিয়ে পানিতে ভাসানো হয়েছে। আকারে ছোট এই নৌযানগুলোর ভেতরের দৃশ্যও অনেক করুণ। বড়জোর অর্ধশত যাত্রী বহন করার ক্ষমতা থাকে লঞ্চগুলোতে। ফিটনেসবিহীন এসব নৌযানের মধ্যে কোনো কোনো সময় ৮০ থেকে ৯০ জন যাত্রীও বহন করা হয়ে থাকে। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
নারায়ণগঞ্জ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ রুটে প্রতিদিন ২৩টি, চাঁদপুর রুটে ১৫টি, সুরেশ্বর ও রামচন্দ্রপুর রুটে চারটি লঞ্চ চলাচল করে। এছাড়া মতলব রুটে চলাচল করে ১৩টি নৌযান। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ রুটে চলাচল করা লঞ্চগুলোর ইঞ্জিন খুবই দুর্বল বলে জানা গেছে। এছাড়া অদক্ষ চালক দ্বারাও পরিচালিত হয় লঞ্চগুলো।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ফিটনেস যেমনই হোক, নারায়ণগঞ্জের লঞ্চগুলো বহু দিন ধরেই এভাবে চলাচল করছে। তবে পরিবর্তন করতে হলে পুরো কাঠামো বদলাতে হবে। এতে সরকারের উচিত হবে আমাদের পরিকল্পনা ও আর্থিকভাবে সাহায্য করা। তাহলে আমরা প্রতিটি লঞ্চের কাঠামোই পরিবর্তন করতে পারব।’
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা (ট্রাফিক বিভাগ) ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক লাল বৈদ্য বলেন, ‘আমরা আমাদের নারায়ণগঞ্জ রুটে ফিটনেস ছাড়া কোনো পরিবহন চলতে দেই না। তবে যদি আমরা ফিটনেসবিহীন কোনো নৌযান দেখি তাহলে অবশ্যই এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এছাড়া, দুর্ঘটনা এড়াতে নারায়ণগঞ্জের নৌ-রুট দিয়ে বাল্কহেড এবং অন্যান্য জাহাজ চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আমরা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা নেব।’
নদী বন্দর / এমকে