করোনাভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা দেশব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। এতে মৃত্যুহারও বাড়ছে। এ সময় হাসপাতালগুলোতেও গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের ছাড়া অন্যদেরকে ভর্তিও নেওয়া হচ্ছে না।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই ঘরে থেকে চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এ সময় ঘরে আইসোলেশনে থাকার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাও অনেক।
যারা করোনার সামান্য কয়েকটি উপসর্গে অসুস্থতা বোধ করছেন; তারা চাইলেই ঘরে থেকে বিশ্রাম নেওয়া ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের মধ্যে ফ্লু বা সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথার লক্ষণই বেশি প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পর আপনি যদি কোভিড-১৯ টেস্টে পজেটিভ হন; তাহলে ওষুধ এবং ঘরোয়া উপায়েই প্রতিকার মিলবে।
কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের বেশিরভাগের মধ্যেই এ পর্যন্ত সাধারণ কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। এগুলো হলো জ্বর, শুষ্ক কাশি, গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়া বা নাক বন্ধ, বুকের ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি, গ্যাস্ট্রিকের সমসা, গন্ধ এবং স্বাদ অনুভূতি হ্রাস।
আপনি যদি কোভিড-১৯ পজেটিভ হন; তাহলে কী করবেন?
কোভিড-১৯ পজেটিভ হলে দ্রুত আপনি আইসোলেশনে থাকতে শুরু করেন। আপনি ছাড়াও পরিবারের অন্যরা সুস্থ আছেন কি-না সেক্ষেত্রে কোভিড-১৯ টেস্ট করাতে হবে। পরিবারের সবাই যদি সুস্থ থাকে; তাহলে তাদের সংস্পর্শে আসবেন না।
আপনার শরীরে যদি কোনো মারাত্মক লক্ষণ দেখা নাও দেয়; তবুও নিজেকে সুস্থ মনে করবেন না। কারণ অন্যদের জন্য আপনার শরীরে থাকা ভাইরাসটি মারাত্মক ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এজন্য কোভিড-১৯ পজেটিভ হওয়ার পরপরই নিজেকে অন্যের থেকে আলাদা করুন। নেগেটিভ না হওয়া পর্যন্ত কারও সংস্পর্শে আসবেন না।
বায়ু চলাচল করে এমন একটি ঘরে আলাদা থাকুন এ সময়। আপনার চারপাশ সবসময় স্যানিটাইজ করুন। অন্যের সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করবেন। নিজের কাপড়, বাসন বা ব্যবহৃত জিনিসপত্র আলাদা করে রাখবেন। কিছুক্ষণ পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য সাবান পানিতে হাত ধুতে হবে।
বাড়িতে বসে যেভাবে চিকিৎসা করা যেতে পারে?
কোভিড-১৯ এর লক্ষণগুলো যদি সাধারণ হয়ে থাকে; তাহলে ঘরে বসেই আপনি সুস্থ হতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক এ সময় ওষুধ খেতে হবে। কখনোই কারও কাছ থেকে শুনে ওষুধ খাবেন না।
করোনা সংক্রমিত হলে আপনাকে অবশ্যই হাইড্রেটেড থাকতে হবে। এ সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। আতঙ্কিত বা দুশ্চিন্তা করা থেকে বিরত থাকবেন। এ সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভেষজ উপাদানসমূহ এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি।
কখন হাসপাতালে যাবেন?
আপনার লক্ষণগুলো যদি ক্রমাগত খারাপ হতে থাকে; তাহলে দ্রুত হাসপাতালে যেতে হবে। যেমন- শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে, প্রচণ্ড বুকে ব্যথা, মানসিক বিভ্রান্তি, নীল ঠোঁট, বারবার ঘুমিয়ে পড়া ইত্যাদি সমস্যা হলে বুঝতে হবে আপনার শরীরের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে আসছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নদী বন্দর / জিকে