করোনা মহামারির শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে আসছেন, এর থেকে নিস্তার পেতে গরম ভাব বা স্টিম নেওয়া জরুরি।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, গরম ভাপ নিলে কোভিড-১৯ এর বিভিন্ন লক্ষণ যেমন-সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা সারাতে দ্রুত কাজ করে। এমনকি চিকিৎসকরাও রোগীর প্রেসক্রিপশনে গরম পানির ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এ ছাড়াও করোনা থেকে সেরে ওঠা অনেকেই জানিয়েছেন, গরম ভাপ তাদের ক্ষেত্রে বেশ কাজে দিয়েছে। করোনার উপসর্গ যেমন সর্দি-কাশিতে গরম পানির সঙ্গে লবঙ্গ মিশিয়ে ভাপ নিয়েছেন অনেকে।
গরম পানির ভাপ নিলে শ্বাস-প্রশ্বাস কিছুটা সময়ের জন্য স্বাভাবিক হয়ে আসে। আবার সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দিসহ আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশনের ক্ষেত্রে গরম বাষ্পের ভাপ কাজে আসে।
তবে অনেকেরই জানা নেই কীভাবে গরম পানি ভাপ নিতে হয় বা এর সঠিক উপায় কী? এ কারণেই বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি বাষ্পীয় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে।
যার ফলে শিশু এবং বয়স্করা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তাই শিশুদের বাষ্প ইনহেলেশনের সময় অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আমেরিকান বার্ন অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, মাত্র ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপযুক্ত বাষ্পের সংস্পর্শে তিন সেকেন্ড থাকলেই ত্বক পুড়বে।
প্রথমত, গরম পানি ভাপ নেওয়ার সময় তা শিশু এবং আপনার থেকে নিরাপদ দূরত্বে আছে কিনা তা খেয়াল রাখুন। গরম পানি হাত বা শরীরের সংস্পর্শে রাখবেন না।
নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে একটি তোয়ালের মাথার উপর দিয়ে পানির ভাগ গ্রহণ করুন। চেষ্টা করবেন আপনার নাক ও মুখ দিয়ে ভাপ গ্রহণ করতে।
গরম পানীয় নাক ও মুখের লালা, শ্লেষ্মা নিঃসরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। যার কারণে প্রদাহ কমে।
গরম পানিতে কিছু সাধারণ উপাদান মিশিয়েও আপনি ভাপ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ইউক্যালিপটাস অয়েল বেশ কার্যকরী। বেশ কয়েকজন কোভিড-১৯ এ আক্রান্তরা এ উপায়ে নিয়মিত ভাপ নিয়ে উপকৃত হয়েছেন।
দিনে কয়বার ভাপ গ্রহণ করা জরুরি: করোনা থেকে বাঁচতে কিংবা সংক্রমিত হলে দিনে দুই থেকে তিনবারের বেশি বাষ্প গ্রহণ করবেন না।
কারণ অতিরিক্ত বাষ্প আপনার মুখ এবং গলা শুষ্ক করে তুলতে পারে। যা ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণও হতে পারে। সাবধান থাকুন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নদী বন্দর / পিকে