চরম অক্সিজেন সংকটে হাঁসফাঁস করছে ভারত। গুরুতর রোগীরা হাসপাতালে গিয়েও পাচ্ছেন না দম নেয়ার সুযোগ। দুদিন আগেই দেশটির রাজধানী শহর দিল্লির একটি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে অন্তত ২০ জন রোগী মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এবার আরেক রাজ্য হরিয়ানায় মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে আরও ১৩ রোগী অক্সিজেন না পেয়ে মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে হরিয়ানার হিসার শহর। সেখানে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে।
মৃতদের মধ্যে একজনের ভাই অভিযোগ করেছেন, তিনি অন্য হাসপাতাল থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে এনে দিয়েছিলেন। তারপরেও তার ভাইকে অক্সিজেন দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে হিসার জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। এ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় তৃতীয়বার হরিয়ানায় অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর অভিযোগ সামনে এল।
এর আগে, রোববার গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চারজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এরপর রেওয়ারির একটি হাসপাতালে প্রাণ হারান আরও চার রোগী।
দু’ক্ষেত্রেই অক্সিজেনের অভাবে রোগীরা মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
ভারতের অন্য অংশগুলোর মতো হরিয়ানাতেও ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যেই বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেনে ঘাটতির অভিযোগ উঠে আসছে।
হরিয়ানায় ব্যাপক অক্সিজেনে ঘাটতির জন্য প্রশাসনিক গাফিলতিকে দায়ী করেছেন স্থানীয় সমাজকর্মীদের একটি অংশ। তাদের অভিযোগ, গত দু’মাস ধরে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর প্ল্যান্ট পড়ে থাকলেও হিসার জেনারেল হাসপাতালে এখনও সেটি বসানো হয়নি। যদি সময় মতো এই কাজ করা হতো, তাহলে দৈনিক অন্তত ২০০ কিলোলিটার অক্সিজেন পাওয়া যেত।
অবশ্য এ অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই অক্সিজেন প্ল্যান্টটি বসানোর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানানো হয়েছে।
নদী বন্দর / জিকে