চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় নলকূপে পানি উঠছে না। ভূগর্ভের পানির স্তর নেমে যাওয়ায় অকেজো হয়ে পড়ছে এখানকার কয়েক হাজার নলকূপ।
নলকুপের পানি না পাওয়ায় চরম দূর্ভোগে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। প্রচন্ড তাপদাহে উপজেলার প্রায় এলাকার পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। পানি সংকটে অসহনীয় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে উপজেলার আমুচিয়া, করলডেঙ্গা, কধুরখীল, পূর্ব গোমদন্ডী, পশ্চিম গোমদন্ডী, শাকপুরা, সারোয়াতলী, চরণদ্বীপ ও জৈষ্ঠ্যপুরা শ্রীপুর খরণদ্বীপ এলাকার বিভিন্ন গ্রামের নলকূপে পানি না উঠায় পুুকুরের পানি দিয়ে চলছে দৈনন্দিন কার্যক্রম। দুই-একটি বাড়িতে ভ্যাটিক্যাল ও সাব-মারসিবল পাম্পের মাধ্যমে পানি তোলা হচ্ছে। সেই সব বাড়ীতে সুপেয় পানির জন্য লম্বা লাইন দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
আমুচিয়া ইউনিয়নের ধোরলা এলাকার ব্যবসায়ী কাজী মো. ফখরুদ্দীন ও পূর্ব ধোরলা গ্রামের কাজী মো. একরামুল হক এবং বোয়ালখালী পৌর এলাকার মো. আমির হোসেন জানান, গত ডিসেম্বর মাস থেকে এ সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওই সময় নলকূপে পানি দিয়ে পানি তোলা যেতো। এখন একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে নলকূপগুলো। আমাদের গভীর নলকূপ বসানোর সামর্থ নেই। এলাকাবাসী গভীর নলকূপের নামে সরকারী ভাবে বসানো নলকূপ গুলোর মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তারা বলেন, এসব নলকূপ বসানোর কিছুদিনের মধ্যেই পানি উঠা বন্দ হয়ে যায়। এরপর এসব আর সচল করার কোন উদ্যোগ বা তদারকি না থাকায় ধীরে ধীরে সমূলে নষ্ট হয়ে যায়।
সারোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বলেন, নলকূপে পানি না পাওয়ায় সুপেয় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে অহসনীয় দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।
বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র হাজী আবুল কালাম আবু বলেন, নিজের ঘরেও পানি নেই। পৌর এলাকার পশ্চিম গোমদন্ডী ও পূর্ব গোমদন্ডীর কিছু অংশে পানি সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন মিল কারখানায় গভীর নলকূপ স্থাপন করায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে পৌরসভা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা মিল কারখানা কর্তৃপক্ষ মানছেন না।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সুদর্শী দেওয়ান জানান, বোয়ালখালীতে বেশিরভাগ এলাকায় গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। এ বছর ২২৬টি নলকূপ বরাদ্দ এসেছে। এর মধ্যে ২০০টি নলকূপ বসানো হয়েছে। আরো বরাদ্দ আসবে। পর্যায়ক্রমে তাও বসানো হবে। এ মূহুর্তে করণীয় সর্ম্পকে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
নদী বন্দর / জিকে