পাঁচ ম্যাচে সমান ৪টি করে জয় নিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ে মাঠে নেমেছিল দিল্লি ক্যাপিট্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যেখানে দিল্লি ক্যাপিট্যালসকে ১ রানে হারিয়ে আসরের পঞ্চম জয় নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসকে টপকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
ম্যাচে আগে ব্যাট করে এবি ডি ভিলিয়ার্সের ঝড়ে ১৭১ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে শিমরন হেটমায়ারের টর্নেডো ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অধিনায়ক রিশাভ পান্তের দায়িত্বশীল ইনিংসের পরেও ১৭০ রানের বেশি করতে পারেনি দিল্লি। ফলে ১ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় পায় ব্যাঙ্গালুরু।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল ছিল না দিল্লির। দলীয় ৫০ রান করতে তারা খেলে ফেলে প্রায় ৮ ওভার, হারায় তিনটি উইকেট। ফর্মে থাকা দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৬) ও পৃথ্বি শ (২১) বেশি কিছু করতে পারেননি। ব্যর্থ হন স্টিভেন স্মিথও (৪)।
প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেয়ার আভাস দিলেও বেশিদূর যেতে পারেননি মার্কাস স্টয়নিস। ইনিংসের ১৩তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ২২ রান করেন এ অসি অলরাউন্ডার। তবে অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন অধিনায়ক পান্ত। পঞ্চম উইকেটে তিনি সঙ্গী হিসেবে পান তরুণ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান হেটমায়ারকে।
তারা দুজন মিলে জয়ের আশা জাগিয়েছেন দিল্লি শিবিরে। বিশেষ করে ব্যাঙ্গালুরুর বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান হেটমায়ার। ম্যাচ জেতার জন্য শেষ তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪৬ রান। কাইল জেমিসনের করা ১৮তম ওভারে তিন ছয়ের মারে ২১ রান নিয়ে ব্যাঙ্গালুরু।
নিজের আগের তিন ওভারে মাত্র ১১ রান খরচ করা জেমিসনকে তিনটি ছক্কাই হাঁকান হেটমায়ার। ফলে সমীকরণ নেমে আসে ১২ বলে ২৫ রানে। তখন ১৯তম ওভার করতে এসে ১১ রান খরচ করেন হার্শাল প্যাটেল। এই ওভারে মাত্র ২৩ রানে নিজের ফিফটি তুলে নেন হেটমায়ার।
শেষ ওভারে বাকি থাকা ১৪ রান ঠেকানোর দায়িত্ব মোহাম্মদ সিরাজের কাঁধে দেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি। প্রথম চার বলে মাত্র ৪ রান খরচ করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেন সিরাজ। তবে পঞ্চম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এক বলে ৬ রানে নামিয়ে আনেন পান্ত।
কিন্তু শেষ বলে আর ছক্কা হাঁকাতে পারেননি দিল্লি অধিনায়ক। সিরাজের করা অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বলটি পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে চার মেরে পরাজয়ের ব্যবধান ১ রানে নামিয়ে আনেন পান্ত। তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৫৮ রান। হেটমায়ার করেন ২৫ বলে ৫৩ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাঙ্গালুরুকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানায় দিল্লি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব একটা খারাপ ছিল না। বিরাট কোহলি এবং দেবদুত পাডিক্কাল মিলে গড়েন ৩০ রানের জুটি। কোহলি এ সময় ১১ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে যান আবেশ খানের বলে বোল্ড হয়ে।
পাডিক্কালও খুব বেশিদুর যেতে পারেননি। ১৪ বলে তিনি করেন কেবল ১৭ রান। রজত পাতিদার ২২ বলে খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ বলে করেন ২৫ রান। তবে ৫ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ডি ভিলিয়ার্সই ঝড় তুলে দিলেন। ৪২ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ৫টি।
শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। দিল্লির হয়ে একটি করে উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা, কাগিসো রাবাদা, আবেশ খান, অমিত মিশ্র এবং অক্ষর প্যাটেল।
নদী বন্দর / জিকে