করোনাভাইরাসের ধাক্কায় বেসামাল অবস্থায় পড়ে গেছে আইপিএলের এবারের আসর। এরই মধ্যে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংসের মোট ৪ জন সদস্য। এছাড়া আইসোলেশনে রয়েছে পুরো দিল্লি ক্যাপিট্যালস শিবির।
এই অবস্থার মধ্যে দ্রুততম সময়ে আইপিএল বন্ধ করে দেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে দিল্লির আদালতে। এছাড়া অনেক ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গও চাইছেন, আপাতত স্থগিত রাখা হোক আইপিএলের খেলা। তবে আইপিএলে থাকা অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা চাইছেন, টুর্নামেন্ট পুরোটা শেষ হোক।
মঙ্গলবার এমন কথাই জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টড গ্রিনবার্গ। আইপিএলের ৮ দলে এখন মোট ১৪ জন অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড় খেলছেন। তাদের বেশিরভাগ আইপিএল চালিয়ে নেয়ার পক্ষে।
রেডি টু জিবিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিনবার্গ বলেছেন, ‘আমার মতে, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই নিজেদের চুক্তি পূরণ করতে চাইছে। তারা চোখ কান খোলা রেখেই সেখানে গেছে। তারা টুর্নামেন্টটি শেষ হতে দেখতে চায়। আর শেষ করে দেশে ফিরতে চায়। এখানেই চিন্তা। কারণ এ ব্যাপারে কারও কোনো নির্দিষ্ট তথ্য জানা নেই।’
সোমবার প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিনস। যিনি বর্তমানে কলকাতার নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলছেন। তবে পরে জানা গেছে, কামিনস সুস্থ আছেন। এছাড়া কলকাতার আরেক অস্ট্রেলিয়ান বেন কাটিংও সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন গ্রিনবার্গ।
তবে এরই মধ্যে করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে আইপিএলে। কলকাতার ভরুন চক্রবর্তী এবং সন্দ্বীপ ওয়ারিয়ার করোনা পজিটিভ হওয়ায় স্থগিত হয়ে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মধ্যকার ম্যাচ। এছাড়া অনিশ্চিয়তা রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস বনাম রাজস্থান রয়্যালসের বুধবারের ম্যাচ নিয়েও।
এদিকে আজ (মঙ্গলবার) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। আজ রাতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে খেলার কথা রয়েছে হায়দরাবাদের। এখন ঋদ্ধিমান করোনা পজিটিভ হওয়ায় ম্যাচের ভবিষ্যতও ঝুলে গেল অনিশ্চয়তায়।
নদী বন্দর / জিকে