৭২ ঘন্টা আগেও সবাই মেতে ছিলেন আইপিএল নিয়ে। হঠাৎ বদলে গেছে দৃশ্যপট। এখন মাঠের ক্রিকেট বাদ। ব্যাট ও বলের লড়াইয়ের জায়গায় সবাই উৎসাহী কোন ক্রিকেটার কবে কিভাবে ভারত ছেড়ে নিজ দেশে ফেরত যাবেন তা নিয়ে। আর বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের উন্মুখ অপেক্ষা সাকিব আল হাসান আর মোস্তাফিজুর রহমানের ফেরার।
প্রথমে শোনা গিয়েছিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এই দুই জাতীয় ক্রিকেটারকে ফিরিয়ে আনবে। তারা বিসিবির ঠিক করা চার্টার্ড বিমানে করে দেশে ফেরত আসবেন। তবে মঙ্গলবার রাতে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন, ব্যাপারটা তা নয়।
বিসিবি সাকিব ও মোস্তাফিজের দেশে ফেরত আসার সমুদয় কাগজপত্র তৈরি এবং আইপিএল কর্তৃপক্ষ, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এবং সাকিবের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং মোস্তাফিজের রাজস্থান রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। সাকিব-মোস্তাফিজই শুধু নন, আইপিএল খেলতে আসা সব ভিনদেশি ক্রিকেটারের নিজ নিজ দেশে নিরাপদে ফেরার বিষয়টি আসলে দেখছে বিসিসিআই। সাথে আইপিএল কর্তৃপক্ষ এবং সাকিব ও মোস্তাফিজের ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।
তবে বিসিবি সিইও মঙ্গলবার রাতে ঠিক নিশ্চিত জানাতে পারেননি সাকিব ও মোস্তাফিজ কবে এবং কখন দেশে ফেরত আসছেন। তিনি জানিয়েছেন, যোগাযোগ অব্যাহত আছে। সাকিব-মোস্তাফিজের চার্টার্ড ফ্লাইট নিশ্চিত হলেই তারা জেনে যাবেন।
এদিকে রাত পার হয়ে আজ ৫ মে দুপুর গড়াতেও নিশ্চিত হয়নি সাকিব ও মোস্তাফিজের ফ্লাইটের সময়। দেশি, বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ-সংগঠকদের বিদেশ যাত্রা, ঢাকায় অবতরনে বিমানবন্দরের সমুদয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পাদনে অত্যন্ত দক্ষ ও বিশ্বস্ত ওয়াসিম খান আজ দুপুরে আলাপে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াসিম খান বলেন, ‘আমার সাথে সাকিব ও মোস্তাফিজের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। আমি কালকেও সাকিবের সাথে কথা বলেছি। দুজনই দেশে ফিরতে উন্মুখ হয়ে আছে। তবে তাদের ফেরার ফ্লাইট এখনও কনফার্ম হয়নি। হলে আমাকে জানাতো।’
দিনক্ষণ নিশ্চিতের খবর দিতে না পারলেও ওয়াসিম খান একটি তাৎপর্যপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার সাথে ওয়ানডে সিরিজের অন্তত এক থেকে দুদিন আগে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিতে হলেও সাকিব-মোস্তাফিজের দুই একদিনের মধ্যে ফেরা জরুরী। কারণ দেশে ফিরেও তাদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
ভারতের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। তাই ভারত থেকে কারও বাংলাদেশে আসার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। সে নিয়ম মানতে হবে সাকিব-মোস্তাফিজকেও।
কাজেই আগামী দুইদিনের মধ্যে দেশে ফিরতে না পারলে সাকিব ও মোস্তাফিজের ২৩ মে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে খেলা কঠিন হবে। ৭ মে’র মধ্যে আসলে ২০ মে তারা ফ্রি হয়ে যাবেন। তখন আর সমস্যা হবে না। কারণ তারা নিবিড় অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন।
দেশে ফিরে জাতীয় দলের সাথে দিন দুয়েকদিন প্র্যাকটিস করলেই মাঠে নেমে পড়তে পারবেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। কিন্তু দেশে ফিরতে দেরি হলে বিশেষ করে ৮ কিংবা ৯ মে পেরিয়ে গেলে প্রথম ওয়ানডে খেলা কঠিন হবে দুই তারকার।
নদী বন্দর / এমকে