প্রস্তাবিত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের জন্য নয় শুধু, আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার জন্য যোগ্যতাই অর্জন করছে না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ক্লাব জুভেন্টাস। টানা ৯ বছর ইতালিয়ান সিরি-আ জয়ের পর এবার তারা হারিয়েছে লিগ শিরোপা। এবার সেরা চারটি স্থানেও থাকতে ব্যর্থ হচ্ছে আন্দ্রে পিরলোর ক্লাব।
রোববার রাতে জুভেন্টাস ঘরের মাঠে হেরেছিল এসি মিলানের কাছে ০-৩ গোলের ব্যবধানে। গত ৯টি বছর জুভেন্টাসের মাঠে এসে জিততে পারেনি মিলান। এবার তারা সেটা পেরেছে এবং জুভেন্টাসকে ঠেলে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে। ৩৫ ম্যাচ শেষে জুভদের পয়েন্ট ৬৯।
এরই মধ্যে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলা ইন্টারমিলানের পয়েন্ট সমান সংখ্যক ম্যাচে ৮৫। আটলান্টা এবং এসি মিলানের পয়েন্ট সমান ম্যাচে ৭২। চতুর্থ স্থানে থাকা ন্যাপোলির পয়েন্ট ৭০।
তার মানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা আটলান্টা ও এসি মিলানের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এবং চতুর্থ স্থানে থাকা ন্যাপোলির চেয়ে এক পয়েন্ট পিছিয়ে জুভরা। লিগে এখনও বাকি ৩টি ম্যাচ।
জুভদের ইতালীয় ভাষায় বলা হয়, ফিনো আলা ফাইন (আনটিল দ্য এন্ড) ক্রু। অর্থ্যাৎ, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে। বাকি তিন ম্যাচেই সেই লড়াই দেখা যাবে তোরিনোর দলটির ফুটবলারদের পায়ে?
এখন যে অবস্থানে রয়েছে জুভেন্টাস, তাতে কোনোভাবেই তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ নেই। সেরা তিনে থাকলে সরাসরি, চারে থাকলে প্লে-অফের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ ছিল। কিন্তু পাঁচে থাকলে খেলতে হবে ইউরোপের দ্বিতীয় সারির ইউরোপা লিগে।
জুভেন্টাসের আরেকটি সমস্যা হলো, সিরি-আ টাইব্রেকার্স (প্রথমে হেড টু হেড জয় পরাজয় হিসেব হয়, এরপর হয় হেড টু হেড ম্যাচে গোল পার্থক্য এবং সর্বশেষ হিসেব হয় সর্বমোট গোল পার্থক্য) নিয়মের কোনোটিতেই এগিয়ে নেয়া রোনালদোর ক্লাব। এ কারণে বাকি তিন ম্যাচে অবশ্যই পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে হবে তাদের। না হয়, নিশ্চিত এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না তারা।
এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে সঙ্কটে রয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে জুভেন্টাস তাকে কিনে নিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশায়। কিন্তু গত তিন মৗসুমের একটিতে কোয়ার্টার ফাইনাল, পরের দুটিতে বিদায় নিতে হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে। এবার তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই খেলা হচ্ছে না তাদের, সম্ভবত। সুতরাং, রোনালদোর ভবিষ্যৎ যে পুরোপুরি অন্ধকার, তা বলেই দেয়া যায়।
নদী বন্দর / পিকে