আন্তর্জাতিক নার্সেস দিবস আজ। মানব সেবায় অনন্য দায়িত্বপালনকারী নার্সদের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শনের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী আজ বুধবার (১২ মে) যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হবে।
১২ মে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা মহীয়সী নারী ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলের ২০১তম জন্মবার্ষিকী। মহীয়সী নারীর জন্মদিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের নার্সরাও যথাযোগ্য মর্যাদা ও শ্রদ্ধাভরে দিবসটি পালন করবেন।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নার্স- আগামী দিনের মূল চালিকাশক্তি’।
হাজারো মানুষের জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আজ সারা বিশ্বে নার্স একটি ভরসার প্রতীক ও সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) -এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইসমত আরা পারভীন জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘মহামারি করোনাকালে ভয়-ভীতি দূরে ঠেলে বাংলাদেশের নার্সরা জীবন বিপন্ন করে করোনা আক্রান্ত মানুষের সেবায় নিজেদের যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে গিয়ে তিন হাজারেরও বেশি নার্স আক্রান্ত এবং ২৫ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে ১৮ জনকে সরকার ৩৭ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে এবং অবশিষ্ট সাতজনের আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।’
তিনি জানান, সরকার সারা দেশের হাসপাতালে প্রণোদনার ১৩ হাজার ৪৭২ জন নার্সের তালিকা তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে ২২টি হাসপাতালের ২ হাজার ৫৭২ জন প্রণোদনা পেয়েছেন। অন্যদেরটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, ‘মহামারি করোনাকালে নার্সরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সরাসরি আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ২৫ জন নার্সের মৃত্যু এবং বিপুল সংখ্যক নার্স আক্রান্ত হয়েছে। তবুও তারা দায়িত্ব থেকে পিছপা হননি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনার যোদ্ধা হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছেন।’
নদী বন্দর / পিকে