ঈদুল ফিতরের তিনদিনের ছুটি শেষে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়, তা শেষ হয় শনিবার (১৫ মে)। লকডাউনের মধ্যে রোববার থেকে শুরু হয়েছে অফিস, ব্যাংক, বীমা ও শেয়ারবাজার।
গত শুক্রবার (১৪ মে) দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আগে থেকেই সরকারের নির্দেশনা ছিল ঈদের ছুটিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মস্থলে থাকতে হবে। একইসঙ্গে ঈদের ছুটি একদিন কমিয়েও দেয়া হয়েছে। গত বুধবার ২৯ রজমানও অফিস খোলা ছিল।
এবার ঈদের ছুটির দু-দিনই গেছে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। করোনা সংক্রমণের কারণে লকডাউনের মধ্যে জরুরি সেবা দেয়া দফতর ছাড়া সরকারি অন্যান্য অফিস বন্ধ রয়েছে।
রোববার সকাল থেকে সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মন্ত্রণালয় ও বিভাগেই শূন্যতা বিরাজ করছে। বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারীই অফিস করছেন না। মন্ত্রণালয়গুলোর জরুরি সেবা সংশ্লিষ্ট দু-একটি শাখা খোলা রয়েছে।
দু-চারজন যারা অফিস করতে এসেছেন তারা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন সহকর্মীদের সঙ্গে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে নেই কোলাকুলি, হাত মেলানো।
খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, মৎস্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, সুনসান নীরবতা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনাগোনা নেই। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের করিডোর অন্ধকারে ডুবে আছে।
কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর লকডাউন শুরু হয়। লকডাউনের মধ্যে পালনের জন্য ১৩টি নির্দেশনা দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে। পরে তিন দফা লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদ শেষ হবে আজ রোববার মধ্যরাতে। বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নেয়া হচ্ছে।
নদী বন্দর / এমকে