ভারতের মুম্বাই উপকূলে ঘূর্ণিঝড় তাউতের আঘাতে ২১৬ আরোহী নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি মালবাহী জাহাজ থেকে ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন দেশটির নৌবাহিনীর সদস্যরা।
এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক। ডুবে যাওয়া জাহাজটি থেকে এ পর্যন্ত ১৮৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই জাহাজটি ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়ের সময় উপকূলে আটকেপড়া আরও অন্তত ৩টি জাহাজ থেকে ৩৫ জনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
প্রত্যেকেই ঘুরে এসেছেন মৃত্যুর মুখ থেকে, নতুন করে ফিরে পেয়েছেন প্রাণ। ঘূর্ণিঝড় তাউতের আঘাতে মাঝনদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজে আটকে থাকা আরোহীরা উদ্ধার হওয়ার পর এভাবেই উল্লাস করেন। ২১৬ আরোহী নিয়ে ডুবে যাওয়া একটি মালবাহী জাহাজ থেকে দেড় শতাধিক জনকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হন ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্যরা।
ডুবে যাওয়া মালবাহী জাহাজ নদীতে তেল গ্যাস খননকাজে ব্যবহৃত হতো এবং এর আরোহীদের বেশির ভাগই খনন শ্রমিক বলে জানা গেছে।
একজন শ্রমিক বলেন, যখন জাহাজ ডুবে যাচ্ছিল তখন একের পর এক সবাই পানিতে লাফ দিতে থাকে। প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছিল আর পানির উচ্চতা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। বাঁচার কোনো আশাই ছিল না সেখানে।
আরেক শ্রমিক বলেন, আমরা আড়াইশ’ জনের মতো ছিলাম। এই অভিজ্ঞতা খুবই ভয়াবহ ছিল। সৃষ্টিকর্তাই আমাদের বাঁচিয়েছেন।
মালবাহী জাহাজডুবির ঘটনায় এখনও অর্ধশতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজ আর হেলিকপ্টার ব্যবহার করে নিখোঁজদের সন্ধান করা হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষ। তারা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
গত সোমবার ভারতের গুজরাট উপকূলে দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় তাউতের প্রভাবে দেশটির বিভিন্ন অংশে এখনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। বেশ কয়েকজন হতাহত ছাড়াও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।
নদী বন্দর / পিকে