ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় বাগেরহাটে দুই হাজারের বেশি মাছের ঘের ভেসে গেছে। এতে মাছচাষিদের কয়েক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে এসব মাছের ঘের ভেসে যায়। জেলার রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাগেরহাট জেলায় ৬৭ হাজার মাছের ঘের রয়েছে।
চলতি বছর এই ঘের থেকে ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে জোয়ারের পানিতে ঘেরের মাছ ভেসে যাওয়ায় সে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি-না, তা নিয়ে রয়েছে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সরকারি তথ্য হিসেবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে সৃষ্ট জোয়ারের ফলে জেলার রামপালে ৯১৭টি, মোংলায় ৬৮৫টি, মোরেলগঞ্জে ১২৫টি এবং শরণখোলা উপজেলায় ১৪৪টি মাছের ঘের ভেসে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুরে সদরের ভৈরব নদী সংলগ্ন মাঝিডাঙ্গা এলাকায় অনেক মাছ শিকারিকে ছোট ছোট খালের মোহনায় জাল দিয়ে ঘের থেকে বেরিয়ে যাওয়া মাছ শিকার করতে দেখা গেছে।
ওই এলাকার মৎস্যচাষি রেজাউল ইসলাম জানান, বুধবার (১৬ মে) রাতে জোয়ারে তার ঘেরের বেশ কিছু মাছ ভেসে গেছে। জোয়ারের পানি বাড়লে নতুন করে আবারও মাছের ঘের ভেসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এই মৎস্যচাষি।
বাগেরহাট মৎস্য বিভাগের বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) এ এস এম রাসেল জানান, বাগেরহাটের রামপাল, মোংলা, মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা এই চারটি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দুই হাজার ৯১টি মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে চাষিদের এক কোটি ৫৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
পূর্ণিমা তিথি ও ভরাকাটালের কারণে বৃহস্পতিবার রাতে যে জোয়ারটি আসবে সেই জোয়ারের পানির চাপও অনেক বেশি হতে পারে বলে তিনি চাষিদের সর্তক করেছেন।
নদী বন্দর / বিএফ