গোপনে বিয়ে সেরেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ওয়েস্টমিন্সটার ক্যাথেড্রলে এক গোপন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসনের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
বেশ কিছু গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবের উপস্থিতিতে দীর্ঘদিনের প্রেমিকা ক্যারি সিমন্ডসকে বিয়ে করেন তিনি। এর আগে ২০১৯ সালের শেষের দিকে তাদের বাগদান হয়।
৫৬ বছর বয়সী বরিস জনসনের এটি তৃতীয় বিয়ে হলেও তার চেয়ে ২৩ বছরের ছোট ক্যারি সিমন্ডসের এটা প্রথম বিয়ে। এর আগে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছিল যে, ২০২২ সালের জুলাই মাসে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে। সে অনুযায়ী, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রও পাঠানো হয়।
কিন্তু হুট করেই শনিবার তারা বিয়ে সেরে ফেললেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হন বরিস জনসন। এরপরই প্রেমিকা ক্যারি সিমন্ডসকে নিয়ে ডাউনিং স্ট্রিটে ওঠেন তিনি। তবে জনসনের বিয়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ডাউনিং স্ট্রিট।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাগদান ও ক্যারি সন্তানসম্ভবা থাকার খবর ঘোষণা করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। ওই মাসেই দ্বিতীয় স্ত্রী মারিয়ানা হুইলারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বিয়ে বিচ্ছেদ করেন তিনি। মারিয়ানা-বরিসের সংসারে দুই কন্যা ও দুই পুত্র রয়েছে।
এর আগে অ্যালেগরা মস্টাইন-ওয়েন নামে এক নারীকে বিয়ে করেছিলেন বরিস জনসন। ২০২০ সালের এপ্রিলে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ক্যারি সিমন্ডস। করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধাকার সময় বরিস জনসনকে যে দুই চিকিৎসক দেখভাল করতেন, তাদের সম্মানে ছেলের নাম উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন রাখেন এ দম্পতি।
চাকরি ও পেনসন বিষয়ক মন্ত্রী থেরেসা কফি এক টুইট বার্তায় জনসন এবং তার স্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন। দ্য মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জনসনের বিয়েতে মাত্র ৩০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়।
করোনার কারণে ব্রিটেনজুড়ে চলছে কড়া বিধিনিষেধ। বিয়ের অনুষ্ঠানে ৩০ জনের বেশি অতিথি আমন্ত্রণে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। বিয়ের আসরে ক্যারি সিমন্ডস আধঘণ্টা দেরিতে উপস্থিত হন। সাদা গাউন পরে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
নদী বন্দর / সিএফ