পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে গত কয়েকদিন ধরে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি, সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের চারা, বীজতলা ও পানের বরজের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পিরোজপুর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সাত উপজেলার ১৬৭ হেক্টর আউশ, সাত হাজার ৩১৮ হেক্টর আউশের বীজতলা, এক হাজার ৩৩৫ হেক্টর বিভিন্ন জাতের সবজিক্ষেত, ১৪১ হেক্টর পান, ১৬৫ হেক্টর কলা, ৮ হেক্টর পেঁপে, ১৮ হেক্টর মরিচ, ১৫ হেক্টর হলুদ, পাঁচ হেক্টর আদা, এক হেক্টর তিল, ১৬৬ হেক্টর পাট ও পাঁচ হেক্টর ভুট্টার জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বিনষ্ট হয়েছে।
চাষিরা জানান, এখন মাঠে সবচেয়ে বেশি রয়েছে আউশ ধান। বাঁধ ভেঙে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। এতে গত কয়েক দিনে জোয়ারের পানিতে জেলার এ আউশের ক্ষেতও বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
এছাড়া গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষেত, পানের বরজ, মরিচ, আদা, হলুদ, পেঁপে, ডালের ক্ষেতেও ঢুকে পড়েছে পানি। এতে অধিকাংশ গাছের গোড়ায় পচন ধরেছে।
ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাংগা গ্রামের চাষি আবুল কালাম বলেন, টানা চারদিন জোয়ারের পানি ঢুকে লাউ, পেপে, লালশাক, ধানের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবজিক্ষেত ডুবে থাকায় গাছের গোড়া পচে গেছে। এতে এসব গাছের সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুর রহমান বলেন, কচা নদীর বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ে। এতে এ এলাকার কৃষিজমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পিরোজপুর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় বলেন, পানিতে নিমজ্জিত জমির ফসলের একটি তালিকা করেছি। পানি নেমে যাওয়ার পর আগামী কয়েক দিন টানা রোদ থাকলে ক্ষতির পরিমাণ তেমন বেশি হবে না বলে আশা করছি।
নদী বন্দর / জিকে