মিডল অর্ডারে আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যানের খোঁজে এখন আজম খানে গিয়ে থেমেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে রাখা হয়েছে কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক মঈন খানের ছেলে আজম খানকে। যা নিয়ে এখন তুমুল আলোচনা-সমালোচনা চলছে পাকিস্তানের ক্রিকেটে।
সমালোচনার বড় অংশ জুড়েই রয়েছে ২২ বছর বয়সী আজম খানের শারীরিক গড়ন। বছরখানেক আগেও ১৩০ কেজির বেশি ওজন ছিল আজমের। এখন সেটি কমিয়ে ১০০ কেজিতে নামিয়েছেন তিনি। তবু বিশ্বের অন্যান্য ফিট ক্রিকেটারদের সঙ্গে আজমের শারীরিক গড়নের তুলনা এনেই মূলত সমালোচনা করা হয়।
এ অবস্থায় পাকিস্তান সুপার লিগের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের সতীর্থ খেলোয়াড় ফাফ ডু প্লেসিকে নিজের পাশে পেলেন আজম। এক সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসি সরাসরিই জানিয়েছেন, সফল ক্রিকেটার হওয়ার জন্য সিক্স প্যাক তথা মজবুত শারীরিক গড়ন থাকা বাধ্যতামূলক নয়। এসময় আজমের জন্য পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
ডু প্লেসি বলেছেন, ‘আমি এটা বিশ্বাস করি না যে, সফল ক্রিকেটার হওয়ার জন্য সবার সিক্স প্যাক থাকতে হবে। আপনার যা আছে, তা নিয়েই কঠোর পরিশ্রম করুণ। ক্রিকেটের আগের কিংবদন্তিদের দেখুন। আমার অনেক আগে অনেক ক্রিকেটার ছিলেন, পরেও অনেক ক্রিকেটার আসবেন- যারা একেকজন দেখতে একেকরকম। কিন্তু স্কিলসেটই এখানে মূল।’
সিক্স প্যাক আবশ্যক না বললেও, ডু প্লেসির নিজেরই রয়েছে সিক্স প্যাক অ্যাবস। পেটানো শারীরিক গড়নে বয়সের কাঁটা প্রায় ৩৭ ছুঁইছুঁই অবস্থায়ও তরুণ মনে হয় ডু প্লেসিকে। অন্যদিকে মাত্র ২২ বছর বয়সেই ভারী শরীর আজমের। তাই দুজনের মধ্যে একপ্রকার তুলনা চলে এলেও, সেটি নিয়ে কথা বলতে রাজি নন ডু প্লেসি।
তার ভাষ্য, ‘ভিন্ন দুজন মানুষের মধ্যে তুলনা করা অযৌক্তিক। সে (আজম) এমন একজন খেলোয়াড়, যে উইকেটে আসবে এবং শুরু থেকেই বড় বড় শট খেলবে। তাকে একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে যে, উইকেটের মাঝে দৌড়ে রান নেয়ার জন্য যথেষ্ঠ ফিট থাকতে হবে। কীভাবে লম্বা সময় খেলতে পারে এবং ২০-৩০ করেই যেন ক্লান্ত না হয়ে পড়ে। এ বিষয়টা ভিন্ন খেলোয়াড়ের জন্য ভিন্নরকম।’