প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিনিয়ত করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ও বিস্তৃতি বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। এর ভয়াল থাবা থেকে রক্ষা পেতে উন্নত ও উন্নয়নশীল, নির্বিশেষে সব রাষ্ট্রকে ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৯ জুন) বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২১ উপলক্ষে দেয়া বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) সকল অংশীজন ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : সাপোর্টিং দ্য ইমপ্লিমেন্টেশন অফ দ্য সাসটেইনবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি দেশে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে সকলের জন্য পণ্য ও সেবার গুণগত মান নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ দূষণ হ্রাস, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ, নিরাপদ খাদ্যব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলা, গুণগত মানসম্পন্ন জীবনরক্ষাকারী ঔষধ এবং প্রতিষেধক উৎপাদন ও সরবরাহের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিএবি ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০’ বাস্তবায়নে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। দেশে উৎপাদিত এবং বিএবি অ্যাক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত গুণগত মানসম্পন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক ও অন্যান্য) দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং বিদেশেও প্রচুর রফতানি হচ্ছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারসহ রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভিন্ন একটি প্রেক্ষাপটে এ বছর দিবসটি পালিত হচ্ছে। আমি আশা করি, অ্যাক্রেডিটেশন দিবস উদযাপন দেশের জাতীয় মান অবকাঠামো উন্নয়ন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য, গুণগত মানসম্পন্ন ঔষধ এবং প্রতিষেধক নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
নদী বন্দর / পিকে