শিক্ষার্থীদেরকে স্কুলমুখী করতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৩ জুন সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জোরালো দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন।
পাশাপাশি প্রস্তাবিত বাজেটে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্ডারগার্টেনগুলোর পুনর্বাসনে আর্থিক বরাদ্দের ব্যবস্থা করা এবং সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন একটি শ্রেণির কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (৯ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. মিজানুর রহমান সরকার বলেন, দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো শিক্ষাক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করে আসছে। প্রতিষ্ঠানগুলো কিছুটা হলেও বেকার সমস্যা দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, ৪০ হাজার স্কুলে এক কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। স্কুলগুলো যদি না থাকত তাহলে শতভাগ শিক্ষা কর্মসূচি এবং টেকসই উন্নয়ন বা এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য আরও অন্তত ৩০ হাজার স্কুল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন হত। তার জন্য প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা ব্যয় হত। এই কিন্ডারগার্টেনের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের বিরাট চাপ কমে গেছে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো কখনই কোনো সরকারি অনুদান পায়নি এবং পাওয়ার জন্য আবেদনও করেনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো দেশের মতো আমরাও দিশেহারা। এজন্য দেশের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থায় দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।
সংগঠনের মহাসচিব বলেন, আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আগেই সতর্ক করেছিলাম- যদি সরকার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দেয় তাহলে ৭৫ শতাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা চাই, চলতি বাজেট অধিবেশনে কিন্ডারগার্টেনগুলো টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাজেটে আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা হোক।
অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএ চেয়ারম্যান মনোয়ারা ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মো. আব্দুল মাজেদ, মাহমুদুল হক চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব মো. ফারুখ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হামিদুর রহমানসহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা।
নদী বন্দর / জিকে