কে হচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর পরবর্তি মহাপরিচালক? এনিয়ে পাউবো অভ্যন্তরে চলছে নানা গুঞ্জন। তবে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই পদোন্নতি দেওয়া হবে। আর এমনটি হলে পাউবো’তে পরবর্তি মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন যৌথ নদী কমিশন বাংলাদেশ এর সদস্য মহম্মদ আলী।
এছাড়াও অতিরিক্ত মহা পরিচালক পূর্ব রিজিওন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক পশ্চিম রিজিওন এ দু’টি পদেও কারা আসছেন তা নিয়ে আলোচনা রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহাপরিচালক সহ এই তিনটি পদ শূন্য হচ্ছে।
জানা গেছে, পাউবো মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ. এম. আমিনুল হক আগামী ৩১ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। চলতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি তিনি মহাপরিচলাক পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) পদে কর্মরত ছিলেন।
এদিকে, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন অতিরিক্ত মহা পরিচালক (পশ্চিম রিজিওন) মো: হাবিবুর রহমান ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) কাজী তোফায়েল হোসেন।
চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর তাকে পাউবো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) এর পদ থেকে মহম্মদ আলীকে বদলি করে প্রেষণে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আর তাকে সরিয়ে পাউবো’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিওন) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল কাজী তোফায়েল হোসেনকে।
পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত মহাপরিচালক পশ্চিম রিজিওন ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক পূর্ব রিজিওন পদে প্রধান প্রকৌশলী ফজলুর রহমান ও প্রধান প্রকৌশলী মুসা নুরুর রহমানের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ পদে প্রধান প্রকৌশলী ড: মিজানুর রহমানের নামও শোনা যাচ্ছে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) একেএম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরীকে তার জায়গা থেকে না সরানোর সম্ভাবনাই বেশি। এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানান, জেআরসি সদস্য মহম্মদ আলীকে মহাপরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হলেও তিনি অবসরে যাবেন ২০২১ সালের ২২ জানুয়ারি। এক্ষেত্রে তাকে পুনরায় চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া না হলে মাত্র ২২ দিন পরই জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পরবর্তি মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) একেএম ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরীর। তার চাকুরির বয়স রয়েছে ২০২১ এর আগষ্ট পর্যন্ত।
এদিকে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যারা অবসরে যাচ্ছেন তাদের দু’একজন চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার জন্য নানা জায়গায় দৌড় ঝাঁপ পারলেও শেষাবধি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কোন গ্রিন সিগন্যাল মিলেনি। ফলে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়র থেকে তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ সংক্রান্ত কোন ফাইল পাঠানো হয়নি।
নদী বন্দর/এসএইচবি