বাজারে এখন আম সহজলভ্য। হিমসাগর, আম্রপালি, ল্যাংড়াসহ নানা প্রজাতির আমে ভরা বাজার। সবার ঘর এখন আমের ঘ্রাণে ম ম করছে। আম নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান।
তবে জানেন কি, কিছু খাবার আছে, যা আম খাওয়ার পর কখনোই খাওয়া উচিত নয়। বদহজম, বমিভাব থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, অ্যালার্জি এমনকি শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে আম খাওয়ার পর ভুল খাবার খেলে। অতিরিক্ত আম খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়; ঠিক তেমনই আম খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।
পানি: ফল খাওয়ার পর পানি খেতে হয় না-এমন কথা নিশ্চয়ই বড়দের মুখে শুনেছেন! আমের ক্ষেত্রেও এটি প্রযোজ্য। আম খাওয়ার পর পানি খেলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। হতে পারে পেট ব্যথাও। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধা ঘণ্টা পর পানি পান করুন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমে প্রচুর হাইড্রেটিং শক্তি আছে, যা আপনার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য যথেষ্ট। যদি আপনি ফল খাওয়ার পরেও তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পর জল খান।
বেশিরভাগ চিকিত্সক এবং ডায়েটিশিয়ানরা ফল এবং পানি খাওয়ার মধ্যে ৪০-৫০ মিনিট ব্যবধানের পরামর্শ দেন। আপনি যদি বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করেন তবে ফল খাওয়ার ৩০ মিনিটের পর এক বা দুটি চুমুক পান করতে পারেন।
দই: আমের সঙ্গে ভুলেও দই মিশিয়ে খাবেন না। কারণ দই আর আম একসঙ্গে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এতে অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। হতে পারে হজমের সমস্যাও। এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার ফলে ডায়রিয়াও হতে পারে।
করলা: এই সবজির অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। তবে আম খাওয়ার পর কখনই করলা খাবেন না। খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমির পাশাপাশি শ্বাসকষ্টও হতে পারে।
ঝাল ও মশলাযুক্ত খাবার: আম খাওয়ার পরপরই কখনও ঝাল কিংবা মশলাযুক্ত খাবার খাবেন না। এর ফলে হজমে সমস্যা দেখে দিতে পারে। ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতেও।
কোমল পানীয়: স্বাস্থ্যের জন্য কোমল পানীয় মোটেও ভালো নয়। তারপর যদি আম খাওয়ার পরপর কোমল পানীয় খাওয়া হয়; তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যা ডায়াবেটিস রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে/ইন্ডিয়া/এমএসএন
নদী বন্দর / বিএফ