ইথিওপিয়ায় বন্দুকধারীদের হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। দেশটির মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় বেনিশাংগুল-গুমুজ এলাকায় ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর আল জাজিরার।
ইথিওপিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বুলেন কাউন্টির বেকোজি গ্রামে স্থানীয় সময় বুধবার ওই হামলা চালানো হয়েছে। ওই এলাকায় বেশ কিছু জাতিগত সম্প্রদায়ের বসবাস।
২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ক্ষমতায় বসার পর থেকেই আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার এই দেশটি প্রায়ই এমন ভয়াবহ সহিংসতার শিকার হচ্ছে।
ইথিওপিয়ার পৃথক একটি অংশে দেশটির সেনাবাহিনী ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করছে। দু’পক্ষের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে।
গত মাসেও ইথিওপিয়ায় হামলা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাসে উঠে গুলি চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা করে বন্দুকধারীরা।
সে সময় তবনিশানজুল-গুমুজে বাসে হামলার ঘটনা ছাড়াও অন্য তিন এলাকায় এ ধরনের হামলার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটিতে চলমান সংঘাতের মুখে নিরাপদে আশ্রয় নেয়া লোকদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।
এদিকে গেশু ডুগাজ নামে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বাহিনীর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, কর্তৃপক্ষ বুধবারের হামলার বিষয়ে অবগত আছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের পরিচয় খুঁজে বের করা হচ্ছে এবং হতাহতের বিষয়েও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।
স্থানীয় এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, তিনি প্রায় ৩৮ জন আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল গুলিবিদ্ধ। রোগীরা তাকে জানিয়েছেন যে, তাদের অনেক স্বজনকে হত্যা করা হয়েছে এবং বন্দুকধারীরা গ্রামের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। যারা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছে তাদের গুলি করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
এক নার্স রয়টার্সকে বলেন, আমরা এ ধরনের ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না এবং আমাদের কাছে ওষুধেরও সংকট ছিল। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে আনার আগে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নদী বন্দর / পিকে