যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে ১২ তলা ভবন ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচজনে পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যায় মিয়ামির মেয়র বলেছেন, ‘ধ্বংসস্তূপের ভেতর গভীর আগুন থাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’ খবর : বিবিসি।
মিয়ামি-ডেড কাউন্টির মেয়র ড্যানিয়েল লেভিন ক্যাভা সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘জরুরি উদ্ধার কর্মীরা ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে আরও একটি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজনে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫৬ জন।’
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ভবনটি ধসে পড়ে যখন সেখানকার অধিকাংশ বাসিন্দাই ঘুমিয়ে ছিলেন।
গবেষকরা বলছেন, ১৯৮১ সালে নির্মিত ভবনটি ১৯৯০ সাল থেকেই দেবে যাচ্ছিল। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে ফ্লোরিডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক শিমন উইডোইনস্কি ২০২০ সালে সর্বশেষ একটি গবেষণায় এ ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, ১৯৯০ সাল থেকে প্রতি বছর ভবনটি ২ মিলিমিটার করে দেবে যাচ্ছিল। তখন থেকেই এটি যে কোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
পুলিশ বলেছে, ওই ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। এতে ১৩০টি ইউনিট ছিল। এই ধসের কারণে অর্ধেক ইউনিট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া শনিবার একজন ইঞ্জিনিয়ারের রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, ২০১৮ সালে তিনি এই ভবনের মূল নকশায় বড় ধরনের ত্রুটির কথা জানিয়েছেন।
নদী বন্দর / এমকে