হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শক্তিশালী বোমা উদ্ধারের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিমানবন্দরের এক্সপোর্ট কার্গো অ্যাপ্রোন এরিয়ার আট নম্বর গেটের অদূরে এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। মহড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
মহড়ায় দেখানো হয়, ‘দুবাইগামী বিজি ৭৩৭ ফ্লাইটে শক্তিশালী বোমা রাখা আছে। যেকোনও সময় বিস্ফোরণ ঘটবে।’ এমন হুমকি দিয়ে সকালে প্রথমে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার ও পরবর্তীতে পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ তৌহিদুল আহসানের কাছে দুটি কল আসে। নাম পরিচয় জানার আগেই সংযোগ বিছিন্ন করে দেন হুমকিদাতা। শাহজালালের পরিচালক বোমা রাখার হুমকির বিষয়টি আমলে নিয়ে টেলিফোনের ব্যাপারে তৎপর হয়ে ওঠেন। বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী, ডিএমপি ও এপিবিএনসহ সংশ্ষ্টি সকলকে ঘটনাটি অবহিত করা হয়।
খবর পেয়ে বিমান বাহিনী, সেনা, এপিবিএন, পুলিশ, আনসার সদস্য, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট, অ্যাম্বুলেন্স, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। এরপর বিমানবন্দরের পরিচালকের নেতৃত্বে দুঃসাহসিক অভিযান শুরু হয়। প্রথমেই ফ্লাইটের যাত্রী, পাইলট ও ক্রুসহ কয়েকজনকে নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়। দ্রুত নামতে গিয়ে যাত্রীদের কেউ কেউ আহত হন।
মহড়ায় আরও দেখানো হয়, বিমান বাহিনীর চৌকস বোমা নিস্ক্রিয় ইউনিট বিমানের ভেতরে ও বাইরে বোমা খুঁজতে থাকেন। অবশেষে খুঁজে পাওয়া যায় বোমা রাখা লাগেজটি। বিশেষ পদ্ধতিতে নিচে নামিয়ে এনে এটি নিস্ক্রিয় করা হয়। এরপর আহত যাত্রীদের হেলিকপ্টারে করে দ্রুত হাসপাতালে দ্রুত পাঠানো হয়। বোমা নিস্ক্রিয় করার পর বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকা নিরাপদ কিনা তা খতিয়ে দেখতে ডিএমপি ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান শেষে বিমান ও পার্শ্ববর্তী এলাকা নিরাপদ ঘোষণা করেন বিমানবন্দরের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট অপারেশন রুলস অনুসারে প্রতি দুই বছর পর পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে মহড়া করতে হয়। এরই অংশ হিসেবে এদিন এ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
মহড়া শেষে শাহজালাল বিমানবন্দরের পরিচালক জানান, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
নদী বন্দর / এমকে