একে একে ২৮টি বছর কেটে গেলো। কতবার শিরোপার একেবারে নাগালে পৌঁছে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা, কিন্তু ট্রফিটা আর ছোঁয়া হয়নি। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে দুর্ভাগ্যজনক হারের পর সোনালি ট্রফিটার পাশ দিয়ে নির্বাক যেতে হয়েছে মেসিকে, কিন্তু তাকে পাশে রেখেই শিরোপার উল্লাসে মেতেছে জার্মানি।
এরপর দুটি কোপা আমেরিকার ফাইনাল। দু’বারই চিলির মুখোমুখি এবং দু’বারই হারতে হয়েছে মেসিদের। মেসি নিজেই খেলেছেন ৫টি ফাইনাল। শিরোপার নাগাল একবারও পাননি।
এবার আবারও ফাইনালে উঠে গেলো মেসির আর্জেন্টিনা। প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার আরেকটি পাওয়ার হাউজ ব্রাজিল। কোপা আমেরিকায় যাদের ঐতিহ্য সোনায় মোড়ানো। এবার নেইমারের ব্র্রাজিলও রয়েছে দুরন্ত ছন্দে।
সব মিলিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্বের সেরা দুটি ফুটবল শক্তি, ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সারা বিশ্বই এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে, এই দুই পরাশক্তির ফাইনালের লড়াই দেখার জন্য।
৩৪ বছর পার হয়ে গেছে মেসির। অনেকেই বলে থাকেন, সর্বকালের সেরা ফুটবলার তিনি। পেলে এবং ম্যারাডোনাকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু আক্ষেপ হলো, ক্লাব ফুটবলে ভুরি ভুরি সাফল্য থাকলেও মেসির নামের পাশে একটিও বড় কোনো শিরোপা নেই। বিশ্বকাপ এবং কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বাদ নিতে পারেননি তিনি।
এবার কী পারবেন সেই আক্ষেপ ঘোচাতে? কিন্তু সামনে যে নেইমারের ব্রাজিল! টানা ১৯টি ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ তারা হেরেছিল এই ব্রাজিলের কাছেই। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে, ২-০ গোলে। এরপর সুপার ক্ল্যাসিকোয় ব্রাজিলের মুখোমুখি হলেও সেবার জিতেছিল ১-০ গোলে।
নিজেরা ফাইনালে ওঠার পর ব্রাজিল তারকা নেইমার বলেছিলেন সেমিফাইনালে তিনি আর্জেন্টিনার সমর্থক। তিনি চান মেসিও উঠে আসুক ফাইনালে। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা স্বপ্নের ফাইনাল হোক। নেইমারের চাওয়া পূরণ হয়েছে। আর্জেন্টিনা উঠেছে ফাইনালে।
কিন্তু একে অপরের যতই বন্ধু হোক, খেলার মাঠে বিশেষ করে যখন ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা, তখন কী আর সেই বন্ধুত্ব থাকবে?