উত্তর কোরিয়ায় চলমান কঠোর লকডাউনের ফলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে দেশটিক আবারও টিকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এর আগে চায়না ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের টিকা ও খাদ্য সহায়তা প্রত্যাখ্যান করেছে উত্তর কোরিয়া।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। এর ফলে চীনের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যে প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে পিয়ংইয়ং খাদ্য, সার এবং জ্বালানির জন্য বেইজিং এর ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।
এদিকে কিম জং উন নিজেই উদ্বেগ প্রকাশ করে খাদ্য ঘাটতির কথা স্বীকার করেছেন। গত মাসে তিনি উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন।
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কারণেই তাদের খাদ্য সরবরাহের ওপর আরও চাপ পড়েছে বলে মনে করা হয়।
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, মস্কো টিকা দেয়ার জন্য পিয়ংইয়ংকে প্রস্তাব দিয়েছে।
উত্তর কোরিয়ায় করোনা মাহামারির শুরু থেকেই তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সংকটের তীব্রতা বোঝা যাবে। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেশটিতে খাদ্য সংকটের চিত্র ফুটে ওঠেছে এবং বলা হয়েছে কিম জং উন সেনাবাহিনীকে খাদ্য বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৮ লাখ ৬০ হাজার টন খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে এবং তারা কঠিন সময় পার করছেন।
খাদ্য সংকটের কারণে ১৯৯০ সালের দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি চলে এসেছে দেশটি। গত বছরের টাইফুনের কারণে ফসলের মাঠ পানিতে প্লাবিত হওয়ায় শস্য ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
সংকট মোকাবিলার একমাত্র উপায় হতে পারে করোনা টিকা। তাহলেই তারা সীমান্ত উম্মুক্তের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য চালু করতে পারবে।
তবে উত্তর কোরিয়া বলছে তাদের দেশে কোনো করোনাভাইরাস নেই। তাদের এমন দাবিকে বিশেষজ্ঞরা সন্দেহজনক মনে করছেন।
নদী বন্দর / সিএফ