কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের পিটুনিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে ক্যাম্পের গার্মেন্টস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (১৬ এপিবিএন) অধিনায়ক (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক।
নিহত রোহিঙ্গা মো. শাকের (৪৫) নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার ক্যাম্পের ব্লক-সির শেড নং- ৮৯২/১ এর বাসিন্দা। তিনি আবু তালেবের ছেলে।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক (এসপি) তারিক জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে নয়াপাড়া ক্যাম্পের বি ব্লকের রোহিঙ্গা এনামত ওরফে এনাম একই ক্যাম্পের অপর রোহিঙ্গা শাকেরকে মারধর ও মাথায় টর্চলাইট দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তাকে রাস্তার পাশে নালায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ক্যাম্প অভ্যন্তরে নিয়োজিত টহলরত অফিসার ও ফোর্স তাৎক্ষণিক তাকে পার্শ্ববর্তী আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
পরবর্তীতে নয়াপাড়া এপিবিএন ক্যাম্পের একাধিক দল ও টেকনাফ থানা পুলিশ সম্ভাব্য সব স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করে। এছাড়া ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ক্যাম্প সূত্র জানায়, শাকেরের সঙ্গে বিভিন্ন কারণে ক্যাম্পের অন্যতম সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রধান জকির ডাকাতের বিরোধ চলছিল। জকির ডাকাতের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি প্রায় দেড় বছর ধরে ক্যাম্পের বাইরে অবস্থান করেছেন। বেশ কয়েক মাস আগে জহির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। এরপর শাকের আবার ক্যাম্পে ফিরে একটি ম্যাকানিক্যাল দোকান পরিচালনা শুরু করেন।
অপর একটি সূত্র বলছে, শাকের ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবেও বেশ পরিচিত। হয়তো সে কারণে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করেছে।
এদিকে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের ধারণা, এ ঘটনা ক্যাম্পের এ সময়ের আলোচিত সন্ত্রাসীবাহিনী শালমান শাহ গ্রুপের কাজ।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক (এসপি) জানান, এ ঘটনায় আটক ১০ জনকে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নদী বন্দর / এমকে