কঠোর বিধিনিষেধের পর চাঁদপুর ঘাটে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। তবে লঞ্চ চলাচলের প্রথমদিন ঘাটে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। এ সময় লঞ্চ ভিড়লেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর থেকেই শুরু হয় যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল। প্রত্যেকটি লঞ্চে ভিড় দেখা গেছে যাত্রীদের।
যদিও বিআইডব্লিউটিএ বলছে, ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে সব লঞ্চ। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের আগেও অনেক লঞ্চকে ঘাট থেকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে এমভি প্রিন্স অব রাসেল লঞ্চের যাত্রী সুলতানা খানম বলেন, ‘বিধিনিষেধের জন্য ঢাকায় ডাক্তার দেখাতে যেতে পারিনি। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নেয়ায় ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কারণ গত ঈদে আমরা দেখেছি যাত্রীদের কত কষ্ট করে ঈদ উদযাপনের জন্য বাড়িতে যেতে হয়েছে।’
জাকির হোসেন নামের আরেক যাত্রী জানান, ‘সচেতনতা আমাদের মধ্যে অনেক কম কাজ করছে। সরকার আমাদের কথা চিন্তা করে কিছু নিয়ম মেনে লঞ্চে চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো সেগুলো কিছুই মানছি না, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’
লঞ্চের সুপারভাইজার আজগর আলী বলেন, ‘ঘাটে লঞ্চ ভিড়লেই যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে হুড়োহুড়ি করে। তারা মনে করেন, লঞ্চে জায়গা পাবেন না। তাদের ফলে স্বাস্থ্যবিধি নষ্ট হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের মাস্ক নিশ্চিত ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে লঞ্চে প্রবেশ করাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি যাতে উপেক্ষিত না হয়, আমরা সর্বদা মনিটরিং করছি।’
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহাদুল ইসলাম বলেন, প্রথমদিন হিসাবে যাত্রীদের ভিড় একটু বেশি ছিল। সকাল থেকে আমরা ঘাটে নজরদারি রেখেছি, যাতে যাত্রীদের কোনো সমস্যা না হয় ও স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মানা হয়। নৌ পুলিশের সদস্যরা প্রত্যেকটি লঞ্চে প্রবেশ করে নজরদারি রাখছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক মো. কায়সারুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আটটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে চাঁদপুর থেকে ছেড়ে গেছে। প্রত্যেকটি লঞ্চে যাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা হয়, সেই বিষয়ে লঞ্চ সুপারভাইজারদের অবগত করা হয়েছে। এছাড়া ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে যাতে লঞ্চগুলো যাতে ঘাট ছাড়ে সেই বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিআইডব্লিউটিএ এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ও মাস্ক পরিধান করতে যাত্রীদের উদ্দেশে মাইকিং করা হচ্ছে। আমাদের পাশাপাশি লঞ্চঘাটে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাজ করছে। আশা করি যাত্রীদের চাপ কমে আসবে। এছাড়াও যাত্রী অতিরিক্ত যাত্রী দেখা গেলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আমরা লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া অতিরিক্ত লঞ্চের ব্যবস্থা রেখেছি।
নদী বন্দর / সিএফ