ঈদযাত্রার শেষদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ঢল নেমেছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘাটজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। এদিকে, ফেরিঘাটেও রয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি।
সোমবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে করে হাজার হাজার মানুষ আসতে শুরু করেন শিমুলিয়ায়। পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। লঞ্চ, ফেরি যে যেভাবে পারছেন পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়েই অধিকাংশ লঞ্চ চলাচল করছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব।
এদিকে, নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে। আর ঘাটে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় ফেরিতে যানবাহন পারাপারে বেগ পেতে হচ্ছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় অবস্থান করছে ছয় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক। এছাড়া, ঘাট অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও রয়েছে পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি।
বিআইডাব্লিউটিএ ও বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১৪টি ফেরি ও ৮৪টি লঞ্চ চলাচল করছে।
বিআইডাব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদকে কেন্দ্র করে শেষ সময়ে মানুষের চাপ পড়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮৪টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। সকাল থেকে বেলা ১০টা পর্যন্ত নৌরুটে লঞ্চের ১১২টি ট্রিপ হয়েছে। এসব লঞ্চে আনুমানিক ১২ হাজার যাত্রী পদ্মা পারপার করেছে।’
লৌহজং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসাইন বলেন, ‘গার্মেন্টস বন্ধ দেয়ার কারণে আজ ঈদ যাত্রীদের যাত্রীদের চাপ অত্যাধিক। আমাদের পক্ষ থেকে যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে ও লঞ্চে নির্ধারিত যাত্রী তোলার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুরো ঘাটজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন স্তরের তিন শতাধিক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।’
নদী বন্দর / পিকে