1. badsha.dru@gmail.com : admi2017 :
  2. nadibandar2020@gmail.com : Nadi Bandar : Nadi Bandar
ক্রমে বিলীন হচ্ছে বালিয়াড়ি-ঝাউবাগান - Nadibandar.com
মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন
নদী বন্দর প্রতিনিধি:
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১
  • ১৭৪ বার পঠিত

লঘুচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে সৈকতের বালিয়াড়ি ও ঝাউবাগান। গেল ৩ দিনে উত্তাল সাগরের জোয়ারে কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট, কলাতলি ও হিমছড়ি বনবিটের আওতায় সৈকতের ডায়াবেটিক, শৈবাল, হিমছড়ি, দরিয়ানগর ও সমিতিপাড়া পয়েন্টে প্রায় আট হেক্টর ছোট ও ৮৪টি বড় ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে ঝাউবাগান একেবারে বিলুপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝাউগাছের সামনের অংশে নারকেল গাছ লাগিয়ে ভাঙ্গন রোধ সম্ভব বলে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

তবে ঝাউগাছ রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা।

রবিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে সৈকতের ডায়াবেটিক, শৈবাল, হিমছড়ি, দরিয়ানগর ও সমিতি পাড়া পয়েন্ট এলাকার গিয়ে বালিয়াড়ির ভাঙ্গন ও ঝাউগাছ বিলুপ্তির দৃশ্য দেখা যায়।

পৃথক পয়েন্টে কয়েক কিলোমিটারের মতো এলাকায় ঝাউগাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপড়ে যাওয়া গাছগুলো সংরক্ষণে কাজ করছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জের দায়িত্বরতরা। এমনটি জানিয়েছেন দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা।

সমীর রঞ্জন সাহা জানান, বঙ্গোপসাগরে চলমান লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারে কক্সবাজারের কস্তুরাঘাট, কলাতলি ও হিমছড়ি বনবিটের আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাগানের প্রায় তিন হেক্টর ও ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রায় পাঁচ হেক্টর বাগানের ছোট গাছ ও ৮৪টি বড় ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। গেল বছর সমিতিপাড়া ও ডায়াবেটিক পয়েন্টের মাঝখানে নতুন করে ঝাউবাগান সৃষ্টি করা হয়েছিল। লকডাউনের কারণে গাছগুলো দ্রুত বেড়েও উঠে। বঙ্গোপসাগরে চলমান লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বেশ কিছু ঝাউগাছ উপড়ে গেছে। একইভাবে মেরিনড্রাইভ সড়কের দরিয়ানগর, হিমছড়ি অংশে সৃজিত ঝাউবাগানের চারা গাছও সমুদ্রে ভেসে গেছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়ে প্রতিবছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। বাড়ন্ত জোয়ারের ঢেউ বালিয়াড়ি ভাঙ্গনের পাশাপাশি উপড়ে যাচ্ছে ঝাউগাছও। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে সৈকত বা ঝাউবাগান রক্ষায় আমরা কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে জিও ব্যাগের বাঁধে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চললেও তা কোন কাজে আসছে না। পৃথিবীর কোন দেশে বাঁধ দিয়ে সমুদ্র রক্ষা করার নজির নেই। শ্রীলংকা, কলম্বিয়াসহ বিভিন্ন দেশে সৈকত এলাকায় নারকেল গাছ লাগিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল দেয়া হয়েছে। নারকেল গাছের শেকড় গভীরে গিয়ে মাটি ধরে রাখে। ঝাউগাছ সৌন্দর্য বর্ধন করলেও শেকড় খুবই হালকা। তাই ঝাউগাছের সামনের অংশে নারকেল গাছ লাগানোর প্রস্তাবনা আমরা বারবার দিয়ে এসেছি। যদি এটি করা যায় তবে একদিকে যেমন সৈকত রক্ষা পাবে তেমনি অন্যদিকে রাজস্বও আয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ বলেন, সৈকতের ঝাউবাগান রক্ষা এবং সেখানে আরও বনায়ন সৃজনের নির্দেশ দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। এখন ঝাউগাছ রক্ষায় পাউবোর জিও টিউব প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

পাউবো কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বর্ষাকালে ভাঙ্গনের কবলে পড়া বালিয়াড়ি ও ঝাউগাছ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে প্রায় ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ (জিও টিউব) করা হয়। সেটিও বেশিদিন টিকে নি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে লাবণী পয়েন্ট থেকে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটারে ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে জিও বাগের বাঁধ বসানো হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পূর্ণিমা-অমানিশার জোয়ারে অতিমাত্রায় বাড়ন্ত পানির তোড়ে জিও ব্যাগের বাঁধও ধীরে ধীরে তলিয়ে যায়। সাম্প্রতিক লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারে বিমান বাহিনীর ঘাঁটির পশ্চিমাংশের সৈকত অংশ ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে নতুন করে প্রায় ২০০ মিটার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। এ ভাঙ্গন অংশে দ্রুত জিও ব্যাগ বসাতে ইতোমধ্যে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নদী বন্দর / সিএফ

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2020 Nadibandar.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com