চীনের বিভিন্ন প্রদেশ ও শহরে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সোমবার থেকে আবারও কয়েক লাখ মানুষ নিজেদের বাড়ি-ঘরে আটকা পড়লেন। গত কয়েক মাসের মধ্যে নতুন করে আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এবং গণহারে লোকজনের করোনা পরীক্ষা করছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয়ভাবে চীনে সোমবার নতুন করে ৫৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই নতুন করে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। চীনের ডজনখানেক প্রদেশ এবং ২০টির বেশি শহরে ইতোমধ্যেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। রাজধানী বেইজিংসহ অন্য বড় শহরের স্থানীয় সরকার তাদের লাখ লাখ বাসিন্দার করোনা পরীক্ষা করছে।
এদিকে হুনান প্রদেশের কেন্দ্রীয় ঝুঝোউ শহরে সোমবার ১২ লাখ বাসিন্দাকে কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের জন্য ওই শহরে লকডাউন জারি করা হয়েছে। সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই সময়ে সময়ে গণহারে লোকজনের করোনা পরীক্ষা এবং ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালানো হবে।
ঝুঝৌ সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও ভয়াবহ এবং জটিল। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকেই কঠোরভাবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে চীন। এ কাজে তারা বেশ সফলও হয়েছে।
কয়েক মাসের কঠোর প্রচেষ্টায় স্থানীয়ভাবে করোনা সংক্রমণ শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয় বেইজিং। কিন্তু নতুন করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হওয়ায় দেশটিতে আবারও উদ্বেগ বেড়ে গেছে। কারণ এখন পর্যন্ত পাওয়া করোনার বিভিন্ন ধরনের মধ্যে সবচেয়ে সংক্রামক ধরন হচ্ছে ডেল্টা।
গত ২০ জুলাই নানজিয়াংয়ে একটি বিমানবন্দরের ৯ পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গত দুই সপ্তাহে দেশে সাড়ে তিনশোর বেশি স্থানীয় কেস শনাক্ত হয়।
ঝুঝৌয়ের কাছাকাছি ঝাংজিয়াজি পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য। সেখানে গত মাস থেকে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার থেকে সেখানে ১৫ লাখ মানুষ লকডাউনের আওতায় রয়েছে। সম্প্রতি ওই শহরে ভ্রমণ করেছেন এমন লোকজনকে খুঁজছেন কর্মকর্তারা। এছাড়া যেসব স্থানে করোনা সংক্রমণ বেড়ে গেছে সেখানে পর্যটকদের ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। অপরদিকে, গ্রীষ্মের ছুটিতে পর্যটকদের জন্য দ্বার বন্ধ করে দিয়েছে বেইজিং।
নদী বন্দর / বিএফ