করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়া। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে দেশটি। ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। করোনার অতি সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। একই সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি সাদিকিন অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি জাভা দ্বীপের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট প্রথম ভারতে শনাক্ত হওয়ায় এটি ভারতীয় ধরন হিসেবেও পরিচিত। গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমণের সংখ্যায় আশঙ্কায় বাড়ছে। গত ১৫ জুলাই দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়। সে সময় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৫৬ হাজার ৭৫৭। অপরদিকে গত ২৭ জুলাই রেকর্ড ২ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়।
গত সপ্তাহে সংক্রমণ কিছুটা কমতে দেখা গেছে। গড়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ হাজার ৮শ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, অভিজ্ঞতা থেকে সরকারের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে অবশ্যই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইন্দোনেশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৩৪ লাখের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৯৫ হাজারের বেশি মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বুদি গুনাদি বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেননি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করে ইন্দোনেশিয়া। তবে তারা তাদের লক্ষ্যমাত্রা এখনও পূর্ণ করতে সক্ষম হয়নি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে মাত্র ১০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনে দুই ডোজ পেয়েছেন।