ওমান উপসাগরের সংযুক্ত আরব আমিরাত উপকূলে একটি তেলবাহী জাহাজ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের পর জাহাজটিকে ইরানের উদ্দেশে যাত্রার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের এ ঘটনা তিনটি মেরিটাইম নিরাপত্তা সূত্র নিশ্চিত করলেও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেকারচি স্থানীয় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে নৌ দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের ঘটনার কথা বলে এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।’
ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, পানামার পতাকাবাহী ব্রিটিশ তেল ট্যাঙ্কার ‘অ্যাসফাল্ট প্রিন্সেস’ ছিনতাই হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ওমান সাগরের এ ঘটনায় ‘ইরানের সামরিক বাহিনী অথবা তাদের অনুগত কোনো গোষ্ঠী’ জাহাজটিতে অনুপ্রবেশ করে এটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিনা তা অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে।’
জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউসও। এদিকে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, আমিরাত উপকূলে একটি জাহাজ ছিনতাইয়ের ঘটনার তদন্ত করছেন তারা।
সম্প্রতি, ইসরায়েলি ব্যবসায়ীর মালিকানাধীন তেল ট্যাঙ্কারে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানকে দায়ী করেছে। এই হামলার পেছনে ইরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব।
গত বৃহস্পতিবার ওমান উপকূলে ওই তেল ট্যাঙ্কারে হামলার ঘটনায় দু’জন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক এবং অন্যজন রোমানিয়ার নাগরিক। এর আগে ওই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে ইসরায়েল। যদিও এসব অভিযোগ পরে অস্বীকার করেছে ইরান।