তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের কাজু বাদাম চাষ করা হচ্ছে। ঐ গ্রামের মো. রফিকুল ইসলাম এই কাজু বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কাজু বাদাম সাধারণত খাগড়াছড়ির নারানখাইয়া, পানখাইয়াপাড়া, কমলছড়ি জামতলী ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু কিছু এলাকায় চাষ হয়ে থাকে।
তালা উপজেলায় ব্যাপকভাবে কাজু বাদাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি মিষ্টি পানির মৎস্য ঘেরের বেড়িবাঁধের ওপর রোপণ করেন পাঁচটি কাজু বাদাম গাছ। চাষ করার পর ফলন ধরেছে দুই বছর। কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ শুরু করেছেন এই কৃষক। শুধু বীজ থেকে নয় কলম পদ্ধতিতে দ্রুত বংশবিস্তারের বিকাশ ঘটিয়েছেন।
অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি পাঁচ বছর আগে এই কাজু বাদামের চাষ করেন। গত দুই বছর গাছে কাজু বাদাম ধরেছে। কাজু বাদামের বীজগুলো চারা দেওয়ার জন্য রেখেছেন। বাড়িতে বীজ রোপণ করার পর নতুন চারাও গজিয়েছে। তাছাড়া কলম পদ্ধতিতে গাছের বংশবিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজু বাদাম চাষের গবেষণা ও পিএইচডি অধ্যয়নরত কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানাকে দেখে এই কাজু বাদাম চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এই কাজু বাদাম চাষের জন্য তার কাছ থেকে কিছু বীজ এনে বাড়িতে চারা উৎপাদন করেন। তিনি বলেন, শারীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনো বিকল্প নেই। এতে প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন রয়েছে। তবে কাজু বাদাম দামে একটু চড়া। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাজু বাদাম বিক্রি হয় ৮০০ থেকে ১০০ টাকায়।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, কাজু বাদাম একটি বিদেশি ফল। দেশে পাহাড়ি অঞ্চলে এই ফলের চাষ হয়ে থাকে। তালা উপজেলায় কাজু বাদামের চাষ হয়েছে, অফিসের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী প্লটও করা হয়েছে। গত বছর থেকে গাছে কাজু বাদাম ধরেছে। এই উপজেলায় কাজু বাদাম চাষের বিস্তার ঘটার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
নদী বন্দর / বিএফ